২৫ বিঘার বেশি কৃষিজমি থাকলে দিতে হবে কর, বিল উত্থাপন

সংসদ
জাতীয় সংসদ ভবন। স্টার ফাইল ফটো

কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীলদের বা পরিবারভিত্তিক কৃষি ভূমির মোট পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। 

তবে এই জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে সম্পূর্ণ কৃষিজমির ওপর ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।

এসব বিধান রেখে ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩ আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। 

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাতীয় সংসদে বিলটি তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। 

বিলে বলা হয়, আখ ও লবণ চাষের ভূমি ও কৃষকের পুকুরও (বাণিজ্যিক মৎস্যচাষ ব্যতীত) কর মওকুফের আওতায় থাকবে।

১৯৭৬ সালের ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স রহিতের পর নতুন করে এই আইনটি করা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান এই ৩ পার্বত্য জেলায় এই আইন কার্যকর হবে না বলে উত্থাপিত বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

বিলে আরও বলা হয়, কৃষি ভূমি পল্লী এলাকা বা পৌর এলাকা যে কোনো স্থানে অবস্থিত হোক, সব ক্ষেত্রে অভিন্ন ভূমি উন্নয়ন কর হার ও শর্ত প্রযোজ্য হবে। 

অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন করহার নির্ধারণ করতে ভূমির মান ও ব্যবহার অনুযায়ী দেশের সব ভূমি একাধিক শ্রেণিতে শ্রেণিবিন্যাস করা যাবে।

সরকার যে কোনো ব্যক্তি বা যে কোনো শ্রেণির সংস্থাকে উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারবে।

ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা যাবে বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

ইলেকট্রনিক পদ্ধতি সারা দেশে পূর্ণাঙ্গরূপে চালু না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতির পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতিতে যে কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

পরপর ৩ বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করা হলে, প্রথম থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে জরিমানা হবে। 
তৃতীয় বছর শেষে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর সার্টিফিকেট মামলা করে আদায় করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Will protect investments of new entrepreneurs: Yunus

Yunus held a meeting with young entrepreneurs at the state guest house Jamuna where15 male and female entrepreneurs participated

4h ago