পরিবেশ অধিদপ্তর গুঁড়িয়ে দিয়েছে কুড়িগ্রামের সেই ইটভাটা

কুড়িগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত এক্সেভেটর দিয়ে অবৈধ ইটভাটাটির স্থাপনা অপসারণ করে। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় কৃষিজমির ওপর নির্মাণাধীন অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল সোমবার বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত এক্সেভেটর দিয়ে অবৈধ ইটভাটাটির স্থাপনা অপসারণ করে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শোভন রাংশা।

উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের হামিরবাজার এলাকায় কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে কৃষিজমিতে নির্মিত হচ্ছিল ইটভাটাটি।

গত ১৯ অক্টোবর 'কৃষিজমিতে ইটভাটা, ক্ষুদ্ধ কৃষক' শিরোনামে দ্য ডেইলি স্টারে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি।

কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই কৃষিজমির ওপর অবৈধ ইটভাটাটি নির্মাণ করছিলেন তবকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদার রহমান বকুল।

ইটভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর স্থানীয় কৃষক সেকেন্দার আলী (৬০) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা তো হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এই ইটভাটা নির্মাণ বন্ধ করা যাবে না। কুড়িগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কৃষিজমির ওপর থেকে অবৈধ ইটভাটাটির স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে আমাদের দাবি পূরণ করেছে। আমরা ডেইলি স্টারের প্রতিও কৃতজ্ঞ।'

উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কৃষিজমির ওপর অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণের বিরোধিতা করে উপজেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইটভাটাটির স্থাপনা অপসারণ করায় কৃষক স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।'

কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কৃষিজমির ওপর ইটভাটাটি নির্মাণ করতে কোনো ধরনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর এ বিষয়ে অবগত হওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে অবৈধ ইটভাটাটির স্থাপনা অপসারণ করেছে। উলিপুর উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Graft allegations against Benazir Ahmed

Interpol issues red notice against ex-IGP Benazir

Authorities have so far submitted red notices requests against 12 individuals, including several high-ranking officials of the AL regime

26m ago