৬ ঘণ্টায় কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে: ডিএনসিসি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ডিএনসিসি, মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, কোরবানি, কোরবানির বর্জ্য,
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন(ডিএনসিসি) জানিয়েছে, মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের পূর্ব ঘোষিত ছয় ঘণ্টার মধ্যে শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'সবার সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ছয় ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আমি নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি করপোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।'

যারা আজ ঈদের দিন কোরবানি দিতে পারেননি তাদের আগামীকাল সকালের মধ্যেই কোরবানি দেওয়ার আহবান জানান তিনি।

মেয়র আরও বলেন, 'অনেকে সন্ধ্যার পর এমনকি রাতেও কোরবানি দিচ্ছেন, তারা আমাদের হটলাইন ১৬১০৬ এ ফোন করে জানাবেন আমাদের কর্মীরা বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে।'

এর আগে আজ দুপুর দুইটায় ডিএনসিসির সাত নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর সেকশন-২ ব্লক-এইচ রোড নম্বর ছয়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে রাত আটটায় নির্ধারিত ছয় ঘণ্টায় সবগুলো ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ শেষ করে ডিএনসিসি। ডিএনসিসির সবগুলো ওয়ার্ড থেকে ঈদের দিন রাত আটটা পর্যন্ত দুই হাজার ১০১ ট্রিপে প্রায় দশ হাজার ৩৭৪ (দশ হাজার তিনশত চুয়াত্তর) মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। 

ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫৪টি ওয়ার্ডের সব এলাকার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজে নিয়োজিত ছিল।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৪টি ওয়ার্ড থেকে কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। শতভাগ বর্জ্য অপসারণ হওয়া ওয়ার্ডগুলো হলো- ১, ২, ৪, ৫, ৭, ৯, ১০, ১২, ১৩, ১৬, ১৭, ১৯-৪১, ৪৩-৫৯, ৬১, ৬৩-৬৬, ৬৮-৭৫ নম্বর ওয়ার্ড।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মোট ওয়ার্ড ৭৫টি।
 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago