বাংলাদেশে ইস্যুতে বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি

ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক 'মানবাধিকার লঙ্ঘনের' ঘটনা বন্ধে এবং 'বাংলাদেশের জনগণকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সর্বোত্তম সুযোগ করে দিতে' জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ৬ সদস্য।

একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ফ্রিডম হাউস ও জাতিসংঘের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কংগ্রেস সদস্যরা চিঠিতে বাংলাদেশে 'গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ক্রমাগত প্রত্যাখান করে আসা', বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন, বাক স্বাধীনতার জায়গা সংকুচিত হয়ে আসা এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের ওপর হামলার মতো বিষয়গুলোর কথা বলেছেন।

এর পাশাপাশি তারা চিঠিতে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ যাতে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

কংগ্রেসের এই ৬ সদস্য হলেন- স্কট পেরি, ব্যারি মুর, ওয়ারেন ডেভিডসন, বব গুড, টিম বার্চেট এবং কিথ সেলফ।

গত ২ জুন বব গুড তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ২৫ মে লেখা চিঠিটিসহ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন।

এর আগে গত সপ্তাহে এসব আহ্বানসহ প্রায় একই ভাষায় লেখা ২টি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই চিঠিগুলোর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে এগুলো সংযুক্ত করে উল্লিখিত ৬ কংগ্রেস সদস্যের কার্যালয় বরাবর ই-মেইল পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

এর পাশাপাশি ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে ৩১ মে কংগ্রেসম্যান বব গুডের (ভিএ-০৫) কার্যালয়ে কল করা হয়। সেখানকার কর্মীরা বাংলাদেশ সম্পর্কিত একটি চিঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বরাবর পাঠানোর বিষয়টি মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেন।

বব গুডের ২ জুনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিনিধি স্কট পেরি (পিএ -১০)। এতে সই করেছেন বব গুড (ভিএ-০৫), ব্যারি মুর (এএল-০২), টিম বার্চেট (টিএন-০২), ওয়ারেন ডেভিডসন (ওএইচ-০৮) ও কিথ সেলফ (টিএক্স-০৩)।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

4h ago