ক্ষমতা হস্তান্তরের আলোচনা: ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ডাকলেন বাইডেন

এখনো হোয়াইট হাউসে আছেন বাইডেন। ট্রাম্পকে বৈঠকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। ছবি: রয়টার্স
এখনো হোয়াইট হাউসে আছেন বাইডেন। ট্রাম্পকে বৈঠকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। ছবি: রয়টার্স

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয় নিশ্চিতের পর থেকেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ট্রাম্প। বিশ্বনেতারা ফোন করে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এর মাঝেই এসেছে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের আমন্ত্রণ। পাঠিয়েছেন স্বয়ং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।

ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য ট্রাম্পকে ফোন কল করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাইডেন।

ট্রাম্পের প্রচারণা দলের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বৈঠকে অংশ নিতে উন্মুখ হয়ে আছেন। খুব শিগগির এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।'

'বাইডেনের এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প', যোগ করেন তিনি।

বাইডেনের চিফ অব স্টাফ বুধবার ট্রাম্পের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সুষ্ঠুভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় ফেডারেল চুক্তিতে সাক্ষরের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।

২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। এর আগে পর্যন্ত বাইডেনই প্রেসিডেন্ট থাকবেন। তবে এ সময়টিতে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া চালু থাকবে।

তবে ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছেন, হস্তান্তর প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট দেশের ও দেশের বাইরের নেতা, দাতা ও গুরুত্বপূর্ণ সমর্থকদের ফোনকল রিসিভ করায় ব্যস্ত আছেন। এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয়ে ট্রাম্প-বাইডেনের বৈঠক ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

২০১৭ সালে বাইডেনের অভিষেকে যোগ দেন ট্রাম্প। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
২০১৭ সালে বাইডেনের অভিষেকে যোগ দেন ট্রাম্প। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

এই কার্যক্রমের প্রথম ধাপ হিসেবে একটি উদ্বোধনী কমিটি ও আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর দল গঠন করা হবে।

বাইডেনের চিফ অব স্টাফ জেফ জিয়েন্টস ট্রাম্পের ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয় কো-চেয়ার হাওয়ার্ড লুটনিক ও লিন্ডা মিকম্যাহনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জেফ এই দুইজনকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস ও জেনারেল সার্ভিস অ্যডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে চুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করেন। এ বিষয়ের সংবেদনশীলতার বিচারে নাম না প্রকাশের শর্তে কথা বলে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা।

বুধবার লুটনিক ও মিকম্যাহন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ট্রাম্প 'আগামী সপ্তাহগুলোতে' তার প্রশাসনের জন্য কিছু ব্যক্তিকে নির্বাচন করবেন। তবে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে কিছু বলেননি তারা।

'প্রথম দিন থেকেই যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির বাস্তবায়ন শুরু হয়, তা নিশ্চিতে তিনি তার দলের জন্য সেরা সদস্য ও উপযুক্ত নীতি নির্ধারণ করবেন। তার ক্ষমতা হস্তান্তর দল এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে', বলেন তারা।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের অঙ্গীকার করেছেন। দেশের স্বার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার বিষয়টির ওপরও তিনি গুরুত্ব দেন।

Comments

The Daily Star  | English
What is Indian media’s gain in branding us as a Hindu-hating country?

What is Indian media’s gain in branding us as a Hindu-hating country?

What has shocked me is their refusal to fact-check what they are writing, broadcasting or televising—a basic duty of any journalist.

6h ago