অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনর্নির্মাণ ও প্রতিষ্ঠান সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ ড. ইউনূসের
পৃথিবীর বড় বড় সমস্যাগুলো সমাধানে অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনর্নির্মাণসহ বিভিন্ন নীতি ও প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জার্মান পোস্টকোড লটারি চ্যারিটি উৎসব ২০২৩ এ বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি ওইসব বিষয়ের ওপর জোর দেন।
গত ২৪ মে জার্মানির ডুসেলডর্ফে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেন ড. ইউনূস। চ্যারিটি উৎসবে জার্মানির ৫০০ নাগরিক অংশ নেন।
জার্মান পোস্ট কোড লটারি ইউরোপীয় ৫টি দেশের পোস্টকোড লটারির অন্যতম। পোস্টকোড লটারির আয়ের একটা বড় অংশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিচালিত দাতব্য কার্যক্রমে দান করা হয়।
বক্তৃতায় অধ্যাপক ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ, সামাজিক ব্যবসা ও সার্বজনীন ব্যবসা উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন এবং শূন্য বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্ব-ভিত্তিক 'তিন শূন্য'র একটি নতুন সভ্যতা সৃষ্টি করার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনর্নির্মাণসহ বিভিন্ন নীতি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের উপযুক্ত সংস্কারের ওপর বিশেষভাবে জোর দেন, যেগুলো পৃথিবীর বড় বড় সমস্যার জন্য দায়ী।
তিনি একটি নতুন সভ্যতা নির্মাণে সামাজিক ব্যবসা, সার্বজনীন ব্যবসা উদ্যোগ এবং তরুণ সমাজের ভূমিকার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন।
ড. ইউনূস ২০১২ সাল থেকে পোস্টকোড লটারির আন্তর্জাতিক দূত হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে আসছেন।
তার ভাষণের পর এই লটারির আরেক আন্তর্জাতিক দূত বিশ্বখ্যাত অভিনেতা ও সমাজকর্মী জর্জ ক্লুনি তার কাজ ও অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
বক্তব্যে ক্লুনি দক্ষিণ সুদান, ডারফুর ও অন্যান্য যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকাগুলোর পুনর্গঠন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অধ্যাপক ইউনূস প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ মডেল কীভাবে একটি কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে কাজ করছে তা উল্লেখ করেন।
তিনি ক্ষুদ্রঋণকে একটি 'অসাধারণ সফল' পদ্ধতি বলে এর প্রশংসা করেন এবং এই উদ্ভাবনের জন্য ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।
উৎসবের আগে অধ্যাপক ইউনূস ও জর্জ ক্লুনির মধ্যে একটি পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ইউরোপের ৫টি দেশের ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ পোস্টকোডের ভিত্তিতে এই লটারিতে অংশ নেন। ডাচ পোস্টকোড লটারি ও জার্মান পোস্টকোড লটারি অনেক বছর ধরে ইউ-ইউনূস (ওয়াই ওয়াই) ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনকে সমর্থন করে আসছে।
Comments