কারাবন্দিরা গাছের ছায়ায়, পাচ্ছেন নির্ধারিত সময়ের বাইরেও গোসলের সুযোগ
দাবদাহে স্বস্তি দিতে কারাবন্দিদের দিনের বেশির ভাগ সময় গাছের ছায়ার নিচে রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া কারাবন্দিদের বেশ কয়েকবার এবং নির্ধারিত সময়ের বাইরেও গোসল করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এজন্য পানির সরবরাহও বাড়ানো হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (পর্ব-১) শাহজাহান আহমেদ আজ দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে কারাবন্দিদের জন্য নেওয়া এসব উদ্যোগের কথা জানান।
তিনি বলেন, 'জেলের ভেতরে বৈদ্যুতিক ফ্যানের কোনো সমস্যা নেই। তবে ফ্যান থেকে গরম বাতাস বের হওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকে। তাই আমরা অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিয়েছি।'
দাবদাহ কারাবন্দিদের স্বাস্থ্যের উপর কোনো বড় প্রভাব ফেলেনি। তবে কারাগারের হাসপাতালগুলোতে জ্বর ও কাশির মতো ঠাণ্ডাজনিত রোগে অতিরিক্ত সংখ্যক রোগী আসছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) চিফ মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান শুভ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগে আমরা প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০ জন রোগী পেতাম। তবে দাবদাহের পর আমরা এখন প্রতিদিন প্রায় ৫৫০ থেকে ৬০০ রোগী পাচ্ছি।'
তিনি বলেন, 'এই রোগীরা মূলত গরমের কারণে খুব বেশি ঘামছেন। ফলে এ ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন।'
কারা সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কারাবন্দিরা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য দেশের সব কারাগারে ফ্যান মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।'
Comments