গাউসিয়া মার্কেট এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়: ফায়ার সার্ভিস
আমরা ২০২০ সালে গাউসিয়া মার্কেটে একটা মহড়া দিয়েছিলাম, তখন যে অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকি পেয়েছিলাম এখন তার চেয়ে কিছুটা ইমপ্রুভ করেছে, তবে এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডেপুটি অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর মো. বজলুর রশীদ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার গাউসিয়া মার্কেটের অগ্নি নিরাপত্তা ঝুঁকি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এনএসআই ও ডিজিএফআই ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা যৌথভাবে গাউসিয়া মার্কেটের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে।
মো. বজলুর রশীদ আরও বলেন, 'আমরা দেখলাম এখানে কিছু সিঁড়ি আছে, কিন্তু সিঁড়িগুলো খুব সংকীর্ণ। কিছু জায়গায় মালামাল রাখা। যদি আগুন লাগে তাহলে মানুষ ওই সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারবে না, প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।'
তিনি গাউসিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ওই সিঁড়ি পরিষ্কার করতে বলেছেন। এ ছাড়া ফায়ার হাইড্রেন্ট নেই, অগ্নি নির্বাপনের জন্য যে পরিমাণ পানি থাকার কথা এখানে সেটা পর্যাপ্ত নয়, ফায়ার এলার্ম নেই বলেও জানান তিনি।
ওই মার্কেটের জন্য যে পরিমাণ অগ্নি নিবারণী ব্যবস্থা থাকা দরকার তা অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে বজলুর রশীদ বলেন, প্রতি ফ্লোরে ৬-৭ জনের একটি ফায়ার ফাইটার টিম থাকার কথা সেটা ব্যবসায়ীরা দেখাতে পারেননি, সেটা পরে দেখাবেন বলে জানিয়েছেন।
কতগুলো মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ দেখেছেন, জানতে চাইলে রাজধানীর ঠাটারিবাজার, নিউ মার্কেট, চকবাজার ও রাজধানী সুপার মার্কেটকে তিনি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান।
বজলুর রশীদ বলেন, এসব মার্কেটে বিদ্যমান অবস্থায় যে পরিমাণ অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা থাকা দরকার তা অপর্যাপ্ত। আমরা তাদের সুপারিশ করবো, কী কী করতে হবে। আমরা তাদের আগেও সুপারিশ করেছি। তারা এখনো তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারেনি।তাদের ফায়ার এক্সটিংগুইশার আছে, তবে আরও ডিটেডকশন-প্রটেকশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।
এ ছাড়া হাইড্রেন সিস্টেম, পর্যাপ্ত আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার, ফায়ার সিস্টেম এবং প্রতিটা ফ্লোরে হুজ রিল এবং ল্যান্ডিং ভাল্ব, প্যানেল বোর্ড থাকতে হবে। মার্কেটে কোথাও আগুন লাগলে প্যানেল বোর্ড সংকেত দেবে, তখন ভবনের লোকজন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে যেতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের (ব্যবসায়ীদের) অনুরোধ করবো। তারা যেন যথাযথ ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা সংযোজন করে মার্কেটগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করে।
গাউসিয়া সুপার মার্কেটের সভাপতি কামরুল হাসান বাবু বলেন, 'আমরা আধুনিক অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য চেষ্টা করছি।'
সিঁড়ির মধ্যে দোকান দিলেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এগুলোতে আগে দেওয়া হয়েছে। তবে, কীভাবে সেগুলো সরানো যায়, কমিটির সদস্যরা বসে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।'
Comments