চট্টগ্রামের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা চান চসিক মেয়র

চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার চসিক কার্যালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় মেয়র এ সহযোগিতা চান।

চসিক মেয়র বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত হওয়া বাংলাদেশ যে আজকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে তা সম্ভব হয়েছে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য। বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে সহযোগিতা করে আসছে। কর্মগুণে বাংলাদেশের জনগণের মন জয় করেছে জাপান।'

তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষিতে জলাবদ্ধতা, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আর অবকাঠামো এ ৪টি খাতকে প্রাধান্য দিচ্ছে চসিক। জাপান এ ৪টি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পারে। জাপানের অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে চাই।'

মেয়রকে আশ্বস্ত করে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, 'জাইকার পাশাপাশি প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ মডেলে বিনিয়োগ করে জাপানি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো আর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারে। এজন্য জাপান সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রাপ্তি নিশ্চিতে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।'

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ‍উন্নয়নের গতিধারাকে বেগবান করতে জাপান সবসময় সহযোগিতা করে আসছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশে বাণিজ্য প্রসারে জাপান আগ্রহী জানিয়ে ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, 'চট্টগ্রাম ও মীরসরাইয়ের ইপিজেডে জাপানের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে। জাপানের সবচেয়ে বড় করপোরেশনগুলোর একটি নিপ্পন স্টিল বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে এবং আরও করতে আগ্রহী। বন্দর ও সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাস্টমসহ প্রশাসনিক জটিলতা কমানো গেলে জাপানের বিনিয়োগের স্বর্গভূমি হতে পারে চট্টগ্রাম। এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে। তাই ব্যবসাক্ষেত্রের বৈচিত্র্য আনয়নে জাপানি বিনিয়োগ বাংলাদেশে ভারী শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারে।'

উল্লেখ্য, জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় সংক্রামক মেডিকেল বর্জ্য ধ্বংসে দেশের প্রথম ইনসিনারেটর প্লান্ট বসিয়েছে চসিক, যা চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই প্লান্টে দৈনিক ৫ টন মেডিকেল বর্জ্য পোড়ানো হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Hezbollah confirms Nasrallah is killed after Israeli strike

Israel said it eliminated him in Beirut airstrike on Friday; Death marks major blow to Iran and its allies

3h ago