আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরার আকুতি

প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানারে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়া শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে উখিয়ার লম্বাশিয়া এক নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে মিয়ানমার ফেরার আকুতি জানিয়েছে রোহিঙ্গারা। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরার আকুতি জানিয়েছে রোহিঙ্গারা। 

এর জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে আরও জোরদার ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে উখিয়ার লম্বাশিয়া এক নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশের ব্যানারে এ আহ্বান জানানো লেখা দেখা গেছে।

কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত সমাবেশে মিয়ানমারের ভাষায় লেখা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার দেখা গেছে।

মিয়ানমারের ভাষা সম্পর্কে জানেন এমন কয়েকজন রোহিঙ্গা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানারে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়া শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সমাবেশে হাজারো রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ অংশ নেয়। ছবি: সংগৃহীত

এসব প্ল্যাকার্ডে মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরার আকুতি জানানো হয়। একই সঙ্গে সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) ত্রাণ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদও জানানো হয়।

তবে এই সমাবেশে সম্পর্কে কিছুই জানেন না উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ক্যাম্পের ভেতরের বিষয় জেলা পুলিশ দেখে না, এপিবিএন দেখে।'

জানতে চাইলে কোন সংগঠন বা কারা এই সমাবেশের আয়োজন করেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

যোগাযোগ করা হলে এপিবিএন ১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ছৈয়দ হারুনুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাধারণ রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ এই সমাবেশটির আয়োজন করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Sea-level rise in Bangladesh: Faster than global average

Bangladesh is experiencing a faster sea-level rise than the global average of 3.42mm a year, which will impact food production and livelihoods even more than previously thought, government studies have found.

9h ago