যমুনার দুর্গম চরে ‘ঘোড়া সমাবেশ’
কৃষিপণ্য পরিবহনের পাশাপাাশি চরের দুর্গম পথ পাড়ি দিতে ঘোড়ার ওপর নির্ভরশীল হলেও ঘোড়া প্রতিপালনের ক্ষেত্রে অনেকেই তেমন দক্ষ নন। এমন পরিস্থিতি 'চরের জাহাজ' হিসেবে পরিচিত ঘোড়ার প্রতি মালিকদের যত্নশীল করে তোলার পাশাপাশি আরও অনেককে ঘোড়া প্রতিপালনে উৎসাহিত করতে সিরাগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনার দুর্গম চরে হয়ে গেল ব্যতিক্রমী ঘোড়া সমাবেশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার নাটুয়াপাড়া হাটে প্রাণিসম্পদ বিভাগ এই সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে এই অঞ্চলের ২ শতাধিক ঘোড়ার মালিক তাদের পালিত ঘোড়াকে সাজিয়ে নিয়ে আসেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কালের বিবর্তনে শহর ও গ্রামীণ জীবনে ঘোড়ার ব্যবহার প্রায় বিলুপ্ত হয়ে আসলেও চরের দুর্গম পথ পাড়ি দিতে ঘোড়ার গাড়ির চেয়ে দ্রুতগামী বিকল্প কোনো বাহন এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি। চলার পথে এসব ঘোড়া প্রায়ই আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু মালিকরা সেসব আঘাতের প্রতি অনেক সময় উদাসীন থাকেন। এ ছাড়া অনেকে ঘোড়াকে পর্যাপ্ত খাবার দিতে পারেন না। ফলে এর কর্মক্ষমতাও কমতে থাকে।
তাই এসব ব্যাপারে মালিকদের সচেতন করার পাশাপাশি ঘোড়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং আরও অনেককে ঘোড়া পালনে উৎসাহিত করতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় প্রানিসম্পদ পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। সমাবেশে তিনি ও অন্য বক্তারা চরের জীবনে ঘোড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
কাজিপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা দিদারুল আহসান জানান, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের বিস্তীর্ণ চর এলাকায় ৫ শতাধিক ঘোড়ার গাড়ি আছে। সমাবেশ থেকে ঘোড়ার মালিকদের ওষুধ ও ভিটামিন দেওয়া হয়।
চরাঞ্চলে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখতে ভিড় করেন আশাপাশের এলাকার উৎসুক বাসিন্দারা।
Comments