কক্সবাজারে ঘোড়ার প্রতি অমানবিক আচরণ হলে আইনগত ব্যবস্থা

কক্সবাজার সৈকতে বিনোদনের জন্য টাকার বিনিময়ে ভাড়ায় খাটানো ঘোড়া। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় বিচরণ করা ঘোড়ার প্রতি অমানবিক আচরণ করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

গতকাল শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে বিনোদনের জন্য টাকার বিনিময়ে ভাড়ায় খাটানো ঘোড়ার মালিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার এ ঘোষণা দেন।

সেসময় এই মানবিক বিষয়টির প্রতি আইন প্রয়োগকারী সব সংস্থার দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের অনেকেই আনন্দ-বিনোদনের জন্য টাকার বিনিময়ে ঘোড়ায় চড়ে থাকেন। দিনের বেলায় ঘোড়াগুলো বিনোদনের কাজে ব্যবহৃত হলেও রাতে মালিকরা বেওয়ারিশের মতো সেগুলো যত্রতত্র ছেড়ে দেন। ঘোড়াগুলো যখন যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায় সেসময় মালিকদের কোনো রকমের নজরদারি থাকে না। পর্যটন মৌসুমে এসব ঘোড়ার খাবার ও চিকিৎসাসহ কিছুটা যত্ন নিলেও বছরের অন্য দিনগুলোতে তেমনটা দেখাশোনা না করার অভিযোগ রয়েছে ঘোড়া মালিকদের বিরুদ্ধে। যথাযথ যত্ন ও পরিচর্যা না করায় খাদ্য এবং চিকিৎসাসহ নিরাপদ বাসস্থানের অভাবে ঘোড়াগুলো পুষ্টিহীনতা আর অসুস্থতায় ভোগে।

ঘোড়ার প্রতি এ ধরনের অমানবিক আচরণ বন্ধ এবং ঘোড়াগুলোর বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে মালিকদের সঙ্গে এ সভার আয়োজন করা হয় বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান এসপি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

সভায় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি অর্ধশত ঘোড়ার মালিক উপস্থিত ছিলেন।

এসপি হাসানুজ্জামান বলেন, 'সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন এলাকায় বিনোদনের কাজে ঘোড়াগুলোকে মালিকরা উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু তারা ঘোড়াগুলোকে খাবার ও চিকিৎসাসহ যথাযথ যত্ন না নিয়ে অমানবিক আচরণ করছেন। যা দেশের প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সভায় ঘোড়াগুলোকে বিনোদনের কাজে ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশ্রাম ও রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'সভার গৃহীত সিদ্ধান্ত যদি কোনো মালিক লঙ্ঘন করেন, কোনো ঘোড়া যদি বেওয়ারিশ হয়ে ঘোরাঘুরি করে, এতে দায়ীদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট আইন মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্টদেরও সজাগ থাকতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago