প্রধানমন্ত্রীর জনসভা: পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেন চলছে ১-৩ ঘণ্টা বিলম্বে

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে চালানো বিশেষ ট্রেনগুলোর প্রায় প্রতিটা কোচ কানায় কানায় পূর্ণ, এমনকি ছাদেও অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। ছবি: স্টার

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নেতাকর্মীদের পরিবহনের জন্য আটটি বিশেষ ট্রেন চালানোয় পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রায় সবগুলো নিয়মিত ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। ঢাকা থেকে রাজশাহী, উত্তরাঞ্চল ও খুলনার মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনগুলো ১ থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে চলছে।

নাটোর রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ঢাকাসহ রাজশাহী, পঞ্চগড়, খুলনা ও রংপুরগামী নিয়মিত ট্রেনগুলো বিশেষ ট্রেনের জন্য বিলম্বে চলছে।

তিনি বলেন, চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা বিলম্বে, খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী রূপসা এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা বিলম্বে, ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ৩ ঘণ্টা বিলম্বে, ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ২ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস দেড় ঘণ্টা বিলম্বে এবং দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা বিলম্বে চলছে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে রেলওয়ের পশ্চিম জোনের পাকশী বিভাগের ৮টি স্টেশন থেকে ১০ হাজারের বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিশেষ ট্রেনগুলোয় রাজশাহী গেছেন। ভাড়া নেওয়া ট্রেনগুলো সকাল থেকে যাত্রী বোঝাই হয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

জয়পুরহাট যেতে নাটোর স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন সিরাজুল ইসলাম নামের এক যাত্রী। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সকাল ৯টায় স্টেশনে এসেছেন তিনি। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও কোনো ট্রেন পাননি। জয়পুরহাট গিয়ে কাজ শেষ করে আজই ফিরে আসা অসম্ভব হবে না ভেবে বাড়ি ফিরে যান তিনি।

আরেক যাত্রী সাইদুল ইসলাম দ্রুতযান এক্সপ্রেসে ঢাকায় যেতে দুপুর ১২টা থেকে স্টেশনে বসে ছিলেন। ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময় দুপুর ২টা ৭ মিনিটে হলেও ২টার দিকে জানতে পারেন ট্রেনটি ১ ঘণ্টা বিলম্বে চলছে।

সোহেল নামে আরেক যাত্রী ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেসে রংপুর যাওয়ার টিকিট কিনেছেন। ট্রেন কতক্ষণ বিলম্বে চলছে জানতে তিনি নির্ধারিত নম্বরে এসএমএস দিয়ে জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু এসএমএসের কোনো জবাব আসেনি। শেষ পর্যন্ত আগেভাগেই স্টেশনে এসে জানতে পারেন রংপুর এক্সপ্রেস ২ ঘণ্টা বিলম্বে চলছে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার নূর মোহাম্মদ ডেইলি স্টারকে বলেন, মাধনগর থেকে আসা বাড়তি যাত্রীর ভাড়া ৭৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে তবে পাঁচবিবি এবং রাণিনগর স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীদের ভাড়া পাওয়া যায়নি। একই গন্তব্য হওয়ায় অনেকেই সুযোগ নিয়েছে।

শিডিউল বিপর্যয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, এসব ট্রেন প্রতিদিনই বিলম্বে চলে। সমাবেশের কারণে সমস্যা হচ্ছে এমনটা বলা যায় না।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago