বিশ্ব ইজতেমা: এবার আখেরি মোনাজাতে সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে ইউসুফ
পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আম বয়ান দিয়ে আজ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম। বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী এবারের ইজতেমায় আসছেন না। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় জুম্মার নামাজ ও আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী।
এ পর্বের বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ সকাল ১০টায় তালিম করবেন মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। জুম্মার নামাজের পর বয়ান করবেন বাংলাদেশি মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, বাদ আছর মেজো ছেলে সাইদ বিন সাদ কান্ধলভী, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মুফতি আজিম উদ্দিন, বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভী, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম। ৩ ভাই ছাড়াও তাদের সঙ্গে আসা মাওলানা সাদের মেয়ের জামাতা মাওলানা হাসানসহ ৭ জনের একটি জামাত ইজতেমা ময়দানে বিদেশি তাবুতে শীর্ষস্থানীয় শুরা সদস্যদের সঙ্গে অবস্থান করছেন।
কোন জেলার মুসুল্লি কোন খিত্তায় অংশ নেবেন:
ইজতেমায় আগতদের জন্য দ্বিতীয় পর্বে পুরো ময়দানকে জেলা ভিত্তিক ৮৫টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো— ঢাকা (খিত্তা নম্বর ১-৪, ৬-২২), টঙ্গী (খিত্তা ৪), নরসিংদী (খিত্তা ২৩), গোপালগঞ্জ (খিত্তা ২৪), মাদারীপুর (খিত্তা ২৫), ফরিদপুর (খিত্তা ২৬), রাজবাড়ী (খিত্তা ২৭), শরীয়তপুর (খিত্তা ২৮), নারায়ণগঞ্জ (খিত্তা ২৯), কিশোরগঞ্জ (খিত্তা ৩০), টাঙ্গাইল (খিত্তা ৩১), মানিকগঞ্জ (খিত্তা ৩২), মুন্সিগঞ্জ (খিত্তা ৩৩), গাজীপুর (খিত্তা ৩৪), বগুড়া (খিত্তা ৩৫), নওগাঁ (খিত্তা ৩৬), নাটোর (খিত্তা ৩৭), মৌলভীবাজার (খিত্তা ৩৮), সিলেট (খিত্তা ৩৯), রাজশাহী (খিত্তা ৪০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (খিত্তা ৪১), পাবনা (খিত্তা ৪২), সিরাজগঞ্জ (খিত্তা ৪৩), জয়পুরহাট (খিত্তা ৪৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়া (খিত্তা ৪৫), চাঁদপুর (খিত্তা ৪৬), কুমিল্লা (খিত্তা ৪৭), খাগড়াছড়ি (খিত্তা ৪৮), নেত্রকোণা (খিত্তা ৪৯), ময়মনসিংহ (খিত্তা ৫০), জামালপুর (খিত্তা ৫১), সুনামগঞ্জ (খিত্তা ৫২), হবিগঞ্জ (খিত্তা ৫৩), শেরপুর (খিত্তা ৫৪), কক্সবাজার (খিত্তা ৫৫), রাঙ্গামাটি (খিত্তা ৫৬), বান্দরবান (খিত্তা ৫৭), চট্টগ্রাম (খিত্তা ৫৮), নোয়াখালী (খিত্তা ৫৯), ফেনী (খিত্তা ৬০), লক্ষ্মীপুর (খিত্তা ৬১), পিরোজপুর (খিত্তা ৬২), বরগুনা (খিত্তা ৬৩), ঝালকাঠি (খিত্তা ৬৪), পটুয়াখালী (খিত্তা ৬৫), ভোলা (খিত্তা ৬৬), বরিশাল (খিত্তা ৬৭), কুষ্টিয়া (খিত্তা ৬৮), চুয়াডাঙ্গা (খিত্তা ৬৯), বাগেরহাট (খিত্তা ৭০), নড়াইল (খিত্তা ৭১), খুলনা (খিত্তা ৭২), যশোর (খিত্তা ৭৩), মাগুরা (খিত্তা ৭৪), ঝিনাইদহ (খিত্তা ৭৫), সাতক্ষীরা (খিত্তা ৭৬), মেহেরপুর (খিত্তা ৭৭), নীলফামারী (খিত্তা ৭৮), দিনাজপুর (খিত্তা ৭৯), রংপুর (খিত্তা ৮০), লালমনিরহাট (খিত্তা ৮১), ঠাকুরগাঁও (খিত্তা ৮২), গাইবান্ধা (খিত্তা ৮৩), পঞ্চগড় (খিত্তা ৮৪) ও কুড়িগ্রাম (খিত্তা ৮৫)।
আগামীকাল শনিবার ফজরের নামাজের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইয়াকুব, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। জোহরের নামাজের পর বয়ান করবেন তুর্কির মাওলানা ওমর, আছরের নামাজের পর বয়ান করবেন মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভী, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা ওসামা ইসলাম এবং মাগরিবের নামাজের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিছুর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় ইতোমধ্যে ৫৪টি দেশের ৪ হাজার বিদেশি মুসল্লি এসেছেন। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসনের ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।
আগামী রোববার ফজরের নামাজের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা বাংলাদেশি মুরসালিন, হেদায়াতি বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম। আর সবশেষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী।
Comments