ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে আ. লীগ: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে চীনের ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট অব দ্য সেন্ট্রাল কমিটি অব দ্য কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস মিনিস্টার চেন ঝো সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে এবং জনগণের সেবা করবে।

তিনি বলেন, 'এই বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে আমরা যদি ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে আমরা দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখব এবং জনগণের সেবা করব।'

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের সহকারী মন্ত্রী চেন ঝোয়া আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে কারণ, তার সরকার বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবং দেশবাসী বর্তমানে এর সুফল পাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বাঙ্গালীর অগ্রযাত্রায় চীনের সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দেশটির সহায়তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম কর্ণফুলী ট্যানেলের মতো বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে চীনের সহায়তা প্রদানের কথা স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিশেষ করে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরীতে বড় আকারের চীনা বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

তিনি সারাবিশ্বে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আবারো আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।

চীনের ভাইস মিনিস্টার বলেন, তার দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দেবে। তিনি আরও বলেন, তার দেশ 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়' বাংলাদেশের এই বৈদেশিক নীতির প্রতি সমর্থন জানায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এই অঞ্চলের দেশ সমূহের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান নিশ্চিত করতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক ২০১৬ সালে তার দেশের প্রেসিডেন্টের সফরকালে একটি কৌশলগত অবস্থানে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফরকালে তার দেশের প্রেসিডেন্টের দেয়া সব প্রতিশ্রুতি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

চীনা মন্ত্রী সিপিসি এবং তাদের প্রেসিডেন্ট ঝি জিনপিং এর পক্ষ থেকে পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি সিপিসি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দল দু'টির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে অ্যাম্বেসেডর এট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। 

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

3h ago