ঘুষ না পেয়ে ঠিকাদারকে লাঞ্ছিত, এলজিইডি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

আব্দুল মান্নাফ, লালমনিরহাট, এলজিইডি,
আব্দুল মান্নাফ। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে ঠিকাদারের কাছে ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফের বিরুদ্ধে। ঠিকাদার ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলীর সামনেই ঠিকাদার আতাউর রহমানকে লাঞ্ছিত করা হয়।

সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডিতে এ ঘটনা ঘটে।

বিকেলে এ ঘটনার বিচার দাবি করে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন লালমনিরহাট ঠিকাদার সমিতি।

সিয়াম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আতাউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তিনি চলতি অর্থবছরে এলজিইডির অধীন মেইনটেইন্যান্সের ২৭ ও ১৩ লাখ টাকার দুটি কাজ লটারিতে পান। কাজ দুটি পাওয়ার পর থেকে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ দুই শতাংশ ঘুষের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।

'আজ দুপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর সামনেই আমার কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেন আব্দুল মান্নাফ। আমি ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আমাকে লাঞ্ছিত করেন,' তিনি বলেন।

লালমনিরহাট ঠিকাদার সমিতির সদস্য বদরুজ্জামান প্লাবন বলেন, 'এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ লালমনিরহাটে যোগদানের পর থেকেই ঠিকাদারদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। তিনি প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ করেন। ঘুষ না দিলে বিল দিতে গড়িমসি করেন। আজকের এই ঘটনায় আমরা আব্দুল মান্নাফের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আমরা আন্দোলনের ডাক দেবো।'

তবে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ। ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, কাউকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। সময়মতো কাজের কন্ট্রাক্ট সাইন না করায় ঠিকাদারের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।

তবে লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর কাদের ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফের আচরণে তিনি অসন্তুষ্ট।

'আমার সামনে ঠিকাদারের কাছে ঘুষ দাবি করা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। ঠিকাদারের অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আব্দুল মান্নাফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে,' তিনি বলেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago