ভারতীয় ভূখণ্ডে দাফন বীর শহীদদের কবর দেশে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধের সময় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় শাহাদাত বরণ করে ভারতীয় ভূখণ্ডে দাফন করা বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর দেশে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্ব আকচায় অবস্থিত লোকায়ন জীবনবৈচিত্র্য জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ছবি: কামরুল ইসলাম রুবাইয়েত

মুক্তিযুদ্ধের সময় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় শাহাদাত বরণ করে ভারতীয় ভূখণ্ডে দাফন করা বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর দেশে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার পূর্ব আকচায় অবস্থিত লোকায়ন জীবনবৈচিত্র্য জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় সীমান্ত এলাকায় যেসব মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ বরণ করলে ওই এলাকার মানুষ এই ভূখণ্ডে তাদের দাফন করতে সাহস পেত না। তাই তাদের দাফন করা হত ওপারে (ভারতে)। এমন হাজার হাজার শাহাদত বরণকারী মুক্তিযোদ্ধা যারা ত্রিপুরা, মেঘালয় সীমান্তের কাছে শাহাদাত বরণ করেছিলেন, তাদের সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডে দাফন করা হয়েছে।'

'প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবগত হয়ে সেসব কবর দেশে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিতে বললে, তার জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমরা মাঝে পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এসে আবার আমাদের আলোকিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যেটা আমাদের হৃদয়ের দাবি ছিল, তিনি তা করে দেখিয়েছেন। সেজন্য তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা স্যালুট জানাই, কারণ তিনি পেরেছেন আমাদের প্রাণের দাবি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করতে। স্যালুট জানাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্যে।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'যেসব রাজাকার আলবদররা আমাদের হত্যা করেছিল, রক্তে রঞ্জিত করেছিল আমাদের মাটি- তাদের গাড়িতে যখন বাংলাদেশের পতাকা উড়ত, আমরা সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে পারতাম না। আমাদের সেই যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি দিয়েছেন। আমাদের আর সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় না, সেজন্যও তাকে স্যালুট জানাই। বংশ পরম্পরায় জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।'

যারা এই মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি বানিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা এই যে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখছেন। যেন পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারে, যুদ্ধের মাধ্যমে কীভাবে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এদেশ শুধুমাত্র একটি ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীন হয়নি। ধাপে ধাপে আন্দোলন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, পরে স্বাধীনতা। সেই আন্দোলনের নেতা ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ডাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলাম। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, অনেক মানুষ নানাভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।'

জঙ্গি ছিনতাই সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'পুরো ব্যাপারটি অনুসন্ধানের মধ্যে আছে। আমাদের পুলিশ যেখানে যাকে সন্দেহ করছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কিংবা সন্দেহের জালে আবদ্ধ করছে। সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনের এপিএসের বাসায় নাকি সেই জঙ্গি লুকিয়ে ছিল আমরা জেনেছি, সেজন্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আমরা মনে করি, তার কাছে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Government logo

Govt cancels 8 national days including historic 7th March

The interim government has announced the cancellation of eight significant national days, including the one commemorating the historic March 7 speech of Bangabandhu

2h ago