মাদকের তালিকায় নাম থাকলেই অপরাধী বলা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সোমবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভা। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, 'মন্ত্রণালয় নানাভাবে মাদকের তালিকা বা তথ্য পেয়ে থাকে। তালিকা হলেই অপরাধী বলা যাবে না। এসব যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।'

আজ রোববার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, 'রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক চুরি, ডাকাতি, খুন-গুম, অপহরণ-মুক্তিপণ কোনোভাবেই করতে দেওয়া হবে না। এসব অপরাধ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।'

এর আগে সকাল ১০টায় শুরু হওয়া স্থায়ী কমিটির সভায় বলা হয়, কমিটি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। তাই আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও ঢাকার ধামরাই আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ।

সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক চোরাকারবার রোধ, সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ এ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কার্যক্রমের ওপর আলোচ্যসূচি রেখে কক্সবাজারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।'

সভা উপলক্ষে কমিটির সদস্যরা গত ৪ দিন ধরে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। তারা উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেন।

মিয়ানমারের ভেতরে বিভিন্ন গ্রুপ বা বাহিনী আছে শোনা যায় উল্লেখ
করে বেনজীর আহমদ বলেন, 'সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এর প্রভাব কিছুটা আমাদের দেশেও পড়ে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সর্তক আছে। সীমান্তের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।'

সভায় কমিটির সদস্য মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান,  সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও বেগম রুমানা আলী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago