এ জার্নি বাই মেট্রোরেল!

এ জার্নি বাই মেট্রোরেল!
ইমাম হাসান (ডানে) ও ইমাম হোসেন। ছবি: ওয়াসিম বিন হাবিব/স্টার

ইমাম হাসান ইয়াদ। বয়স ১২ বছর। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মেট্রোরেলে প্রথমবারের মতো ভ্রমণ করতে পেরে খুশিতে আত্মহারা।

ইয়াদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারের কথা হয়।

সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে উত্তরার নর্থ স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছানোর পর ইয়াদ বলে, 'এটি খুবই রোমাঞ্চকর! বিশ্বাস করতে পারছি না ভ্রমণ এত সুন্দর, সহজ ও দ্রুত হবে। এটি আমার প্রথম মেট্রো ভ্রমণ।'

উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরে থাকে ইয়াদ। সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে দাদা ও চাচাতো ভাইকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় তারা। উত্তরার নর্থ স্টেশনের বাইরে লাইনে ৫৫ মিনিট অপেক্ষার পর তারা প্লাটফর্মের ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানেও সকাল ১০টার দিকে ট্রেনে ওঠার আগে টিকিটের জন্য এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

মাইলস্টোন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াদ বলে, 'টেলিভিশনে মেট্রোরেলের উদ্বোধন দেখার পর গতকাল বুধবার রাতে আমার দাদা মেট্রোরেলে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিল।'

তার চাচাতো ভাই মোহাম্মদ ইমাম হোসেনও মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে খুব খুশি। যদিও এটি মেট্রোরেলে তার প্রথম ভ্রমণ ছিল না।

মাইলস্টোন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমাম বলে, 'আমি ৬ বছর আগে দুবাইতে প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছি। তবে সেটি ছিল ভূগর্ভস্থ। আজকের অভিজ্ঞতা রোমাঞ্চকর।'

'ট্রেনগুলো একেবারে নতুন এবং স্টেশনটি অনেক সুন্দর ও পরিষ্কার,' ইমাম যোগ করে।

তাদের দাদা রফিকুল ইসলাম বলেন, 'স্টেশনের ভেতরে ও বাইরে দীর্ঘ অপেক্ষা করা ছাড়া এটা সত্যিই একটি ভালো অভিজ্ঞতা। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণ। এটি জাতির সম্পদ এবং এখানে আমাদের সবারই ভূমিকা পালন করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

6h ago