দুর্নীতির কারণে মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি: বিএনপি
মেট্রোরেল প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে উচ্চ হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি। তিনি মেট্রোরেলের ভাড়া কমাতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
মেট্রোরেলে উচ্চভাড়া প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'তারা (সরকার) দুর্নীতি-অনাচার করে বেশি ব্যয় করেছে বলেই সম্ভবত এটা উসুল করার জন্য এটা করেছে। তাদের অপরাধের দায় জনগণ কেন নেবে? জনগণ অতিরিক্ত ব্যয়ে আগ্রহী নয়।'
তিনি ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরের মেট্রোরেলের ভাড়ার একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোরেলের ভাড়া ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে দুই থেকে পাঁচ গুণ বেশি।
তিনি বলেন, 'মেট্রোরেল আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করে মেট্রোরেলের ভাড়া সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের ভাড়া ১০০ টাকা নির্ধারণের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।'
ঢাকার বাসভাড়ার তুলনায় মেট্রোরেলের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই ও লাহোরের ভাড়ার প্রায় দ্বিগুণ এবং কলকাতার ৩ গুণ। ঢাকায় ২০ কিলোমিটারের ভাড়া কলকাতার ৪ গুণ, দিল্লি, মুম্বাই ও চেন্নাইয়ের ৩ গুণ এবং লাহোরের ভাড়ার সাড়ে ৫ গুণ বেশি।'
'অতিরিক্ত টাকা কেন দেবে জনগণ?'
নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'মেট্রোরেল আন্ডারগ্রাউন্ড হলে এর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ খরচ বেশি হতো। কিন্তু আমাদের এটা আন্ডারগ্রাউন্ড না। আমাদের দেশে তাই মেট্রোরেলের ভাড়া কম হওয়া উচিত ছিল।'
'জনগণের দ্বারা নির্বাচিত এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ গণতান্ত্রিক সরকার হলে ক্ষমতাসীন সরকার এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে পারত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ড. ইনামুল হককে লাঞ্ছনার নিন্দা
নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'গত ২৪ ডিসেম্বর শাহবাগে সরকারের দুর্নীতি-ভোটচুরি-গণবিরোধী কাজের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ড. ইনামুল হককে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা শারীরিকভাবে নাজেহাল করেছে বলে যে খবর বেরিয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর সঙ্গে দায়ী যারা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।'
'একই সাথে আমরা টকশো উপস্থাপক জিল্লুর রহমান তাকে সরকার প্রতিপক্ষ মনে করে তার বাড়িতে যে পুলিশি অভিযান চালিয়েছে তারও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
Comments