পিটার হাসের ‘নিরাপত্তা উদ্বেগের’ কথা বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানাল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ছবি: সংগৃহীত

ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের 'নিরাপত্তা উদ্বেগের' বিষয়টি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেন, 'আমরা বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করেছি।'

একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ ও মধ্য এশীয়বিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এই উদ্বেগের কথা জানান।

সূত্র জানায়, নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে গত ১৪ ডিসেম্বর 'মায়ের ডাকের' সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক শেষ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠকটি বিক্ষোভকারীদের কারণে বাধগ্রস্ত হয়েছিল। তারা রাষ্ট্রদূতের অবস্থান নেওয়া ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিছু বিক্ষোভকারী রাষ্ট্রদূতের গাড়িও ঘিরে ফেলে।

গত ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে ঢাকার শাহীনবাগ এলাকায় ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে যান পিটার হাস। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল 'মায়ের ডাক'। সুমনের মা এই 'মায়ের ডাকের' মূল সংগঠক।

এসময় 'মায়ার কান্নার' সদস্যরা ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নেন এবং তাদের স্বজনদের বিচার দাবি করেন। যারা ১৯৭৭ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে কোর্ট মার্শালের শিকার হয়েছিলেন।

পরে পিটার হাস তাৎক্ষণিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে তার উদ্বেগের কথা জানান।

মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র গতকাল বলেছেন, গত কয়েক বছর ধরে দূতাবাসটি 'মায়ার কান্নার' কাছ থেকে কোনো আগাম বার্তা পায়নি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে মানবাধিকার। সুতরাং, মার্কিন দূতাবাস মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব অভিযোগ গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করে এবং নিয়মিতভাবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

Comments

The Daily Star  | English

Is Motijheel losing its glory as commercial hub?

Motijheel, once the pulsing heart of Dhaka’s trade and commerce, has become a shadow of its former self. Empty office floors now whisper tales of abandoned ambitions.

13h ago