সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু

রয়েল বেঙ্গল টাইগার
ছবি: রাকেশ নারালা

'সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের' আওতায় সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনে পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের কালাবগি ফরেস্ট স্টেশনের আওতাধীন এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হয়।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে গণনার ফলাফল প্রকাশ করবে বন বিভাগ।

বন বিভাগ জানায়, বাঘ গণনার জন্য প্রথমে নদী-খাল জরিপ করে বাঘের পায়ের চাপ দেখে এলাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে ক্যামের বসিয়ে বাঘের ছবি তুলে তা বিশ্লেষণ করা হয়।

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের ১১ সদস্যের একটি দল বনে নদী-খাল জরিপের কাজ শুরু করেছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ক্যামেরা বসানো শুরু হবে। সুন্দরবনের মধ্যে ৪৮৪ ক্যামেরা বসিয়ে বাঘসহ অন্যান্য প্রাণীদের ছবি তোলা হবে। পরে তা প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হবে। আগামী ৩ মাস এ ধরনের জরিপ ও ক্যামেরা ট্র্যাপিং চলবে।'

'পরবর্তীতে ২০২৩ সালের নভেম্বরে আবারও একইভাবে জরিপ ও ক্যামেরা ট্র্যাপিং করা হবে। ২০২৪ সালের সালের জুন মাসের দিকে আমরা ফলাফল জানাতে পারব,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'পরিকল্পনা কমিশন থেকে টাকা ছাড়ের বিষয়টি অনুমোদনের পর বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কিছু প্রসেস ছিল। সেগুলো সম্পন্ন করে বাঘ গণনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।'

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৩ মার্চ 'সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প' শীর্ষক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মেয়াদ ছিল চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত। এ প্রকল্পে ২টি অংশ আছে। একটি হলো বাঘ গণনা ও অন্যটি হল বাঘ সংরক্ষণ।

চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে বাঘ গণনা অংশের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রকল্পটি অর্থ ছাড়া পেতে বেশি দেরি হয়। পরবর্তীতে অক্টোবরের মাঝামাঝি প্রকল্পের বাঘ গণনা অংশের জন্য ৩ কোটি ২৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ছাড়া দেয় পরিকল্পনা কমিশন।

বন বিভাগের তথ্য মতে, বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশে ৩ হাজার ৮৪০টি বাঘ প্রকৃতিতে টিকে আছে। তার মধ্যে সর্বশেষ ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে সুন্দরবনের বাঘ আছে ১১৪টি। যা ২০১৫ সালে ছিল ১০৬টি ও ২০০৪ সালের জরিপে ছিল ৪০৪টি।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

7h ago