গলির মুখ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ, কেউ বের হতে পারছেন না

নয়াপল্টনে গলির মুখ বন্ধ
গলির মুখে আটকে পড়া মানুষ। ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই সড়কে সংযুক্ত গলিগুলোও অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শুধু পুলিশের উপস্থিতি। এর আশেপাশের গলিগুলোর প্রবেশ মুখের গেট বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ।

গেটের ভেতরে আটকে পড়া লোকজনদের আকুতি করতে শোনা যায় তাদের বের হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য। তাদের কেউ ব্যাংকে যাওয়ার জন্য, কেউবা অফিসে যাওয়ার জন্য এসব গলি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

তবে, কাউকেই বের হতে দেওয়া হয়নি।

বিজয়নগর মোড় থেকে নয়াপল্টনে যাওয়ার রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নয়াপল্টনের আশপাশের গলির মুখেও পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তার ২ পাশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে।

এর আগে গতকাল বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ। এ ঘটনায় বিএনপির ১ জন নিহত এবং কয়েকশ জন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'আজকের পুলিশি সন্ত্রাসে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। অনেকে চিকিৎসাধীন আছেন। সর্বশেষ জানতে পেরেছি এখন পর্যন্ত আমাদের একজন নেতা মারা গেছেন। আরও অন্তত একজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।'

'আশঙ্কাজনক আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। পুলিশের আকস্মিক বর্বরোচিত আক্রমণে আমরা এখনো সম্পূর্ণ তথ্য পাইনি। আহতদের খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি,' বলেন তিনি।

গতকাল বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। এই নেতারা ছাড়াও বিএনপির ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Industrial output soars, but where are the jobs?

Over the past decade, more and more industries have sprung up across the country, steadily increasing production. But while output rose, factories did not open their doors to more workers.

10h ago