বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত নয়: সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত নয় মন্তব্য করে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, 'আমরা একটা জিনিস লক্ষ্য করি আমাদের দেশের হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে পাড়ি জমায়। এর একটাই কারণ সেটা হচ্ছে আমাদের চিকিৎসা সেবা ওদের থেকে ভালো নয়।'
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের সংগঠন হোমিও পেশাজীবী সমিতির (হোপেস) এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ছবি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও ডা. মো. ইউসুফ আলী অনিম ও ডা. মোহাম্মদ লোকমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের রেজিস্ট্রার ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
দেশের ডাক্তারদের সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা একজন রোগীর সাথে সময় দিতে চাই না। কত তাড়াতাড়ি এই রোগীকে বিদায় করে আর একজন রোগী দেখব এই মানসিকতাই সবচেয়ে বড়। আমি অনেক দেশে দেখেছি যেদেশে ডাক্তাররা রোগীর সাথে অনেক সময় কাটান। একজন ডাক্তার যদি রোগীর সাথে কথা বলেন তাহলে রোগী মানসিকভাবে অনেক শক্তি পায়। এতে রোগী তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।'
বাংলাদেশের উন্নতিকে কিছু রাজনৈতিক দল বিকৃতভাবে প্রকাশ করছেন বলে উল্লেখ করে খসরু বলেন, আমরা উন্নতির দিকে এগিয়ে চলেছি। কিন্তু আজকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যে বিশ্বমন্দা দেখা দিয়েছে সেটার ছোঁয়া আমাদের দেশেও লেগেছে। কিছু রাজনৈতিক দল আছেন তারা এটাকে বিকৃতভাবে প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন আমাদের দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। কিন্তু আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংক বলেছে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক কাঠামোতে চলেছে এই দেশ দেউলিয়া হবে না।
সম্মেলনে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। যেগুলোতে লেখা ছিল- প্রতিটি কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ১ জন করে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার নিয়োগ দেয়া; প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় মেডিকেল সেন্টারে হোমিও ইউনিট চালু করা; হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের বিএসসি সমমান দেয়া; পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে হোমি চিকিৎসকদের বিসিএস করার সুযোগ দেয়া।
এদিকে হোপেস-এর সারাদিন ব্যাপী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়, ঢাবির সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. অসীম কুমার সরকার প্রমুখ।
Comments