কাল উদ্বোধন ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শুক্রবার ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন।

গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য খসড়া ঋণ চুক্তির অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, চীনা এক্সিম ব্যাংক এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার ২২৬ দশমিক ৫৩ কোটি টাকার ঋণের অনুমোদন দিয়েছে। 

মোট ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয়ের ৬৫ শতাংশ দেবে চীন।

২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর, আশুলিয়া, বাইপাইল এবং ইপিজেডকে যুক্ত করবে। 

তবে এ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যানবাহনগুলোকে টোল দিতে হবে বলে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রকল্পের নথি অনুযায়ী, এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে দেশের ৩০ জেলার মানুষ দ্রুত ও সহজে রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হতে পারবে। 

এর মাধ্যমে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ০ দশমিক ২১ শতাংশ বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে।

অপরদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজও চলমান আছে। এই এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পয়েন্টে যুক্ত হবে। 

বিমানবন্দর থেকে বনানী-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-কুতুবখালী পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ের চালুর সময় সংশোধন করে এটি ২০২৩ সালের জুনে চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।

এই দুই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হয়ে গেলে দেশের উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ রাজধানীর তীব্র যানজট এড়াতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাজধানীর জ্যাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনে ট্রাক ও লরি প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তবে এসব ট্রাক বা লরি এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের পর গত প্রায় ৪ বছর আগে ২৪ কিলোমিটার ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। আগামী বছরের জুনের মধ্যে এর কাজ শেষ করার কথা ছিল।

তবে চীনা কর্তৃপক্ষ ঋণ অনুমোদনে বিলম্ব করায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি।

প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরুর পর ৪ বছরের মধ্যে কাজ শেষ করতে চায় প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

7h ago