কয়রায় হত্যা মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত 

বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়লকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ কথা জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, আছের আলীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে কয়রা থানায় দায়েরকৃত পুলিশ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালত আমলে নেওয়ায় স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, কয়রার দক্ষিণ বেদকাশির গোলখালী গ্রামে ৯ বছর আগে আসামি ধরতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মো. মফিকুল ইসলাম। ওইদিন পুলিশ আব্দুল গনি সরদার নামের এক আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল। 

অভিযানের আগেই গনি সরদারের প্রতিপক্ষ নূরুল আমীন মোড়লের চাচাতো ভাই ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়লসহ কয়েকজন বন্দুক, গুলি, লাঠিসোঁটা, হাতুড়িসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখানে হাজির হয়। তারা আব্দুল গনি সরদারকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্কুলপড়ুয়া শিশু সন্তান সিরাজুলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় আব্দুল গনির স্বজন ও প্রতিবেশীদের চিৎকারে গ্রামের সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসে। পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের পেছনে অবস্থান নেওয়া ওই এলাকার রউফ শেখ নামের এক ব্যক্তি আছের আলীর কাছে থাকা বন্দুক নিয়ে গুলি চালান। এতে কনস্টেবল মফিকুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। 

এ ঘটনায় দক্ষিণ বেদকাশীর আংটিহারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মমিনুর রহমান বাদী হয়ে কয়রা থানায় মামলা করেন। কয়েক দফায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর ২০১৫ সালে সিআইডির পরিদর্শক সরদার মো. হায়াত আলী আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এরপর আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আনলে মামলাটি স্থবির হয়ে পড়ে। পরে মামলাটি আবার তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সম্প্রতি পিবিআই নতুন করে অভিযোগপত্র দাখিল করলে তা আমলে নেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago