রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমরা নীরবে কাজ করছি: চীনা রাষ্ট্রদূত

ডিক্যাব টক-এ (বা থেকে) ডিক্যাবের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ও ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন। ছবি: পরিমল পালমা

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন নীরবে কাজ করে যাচ্ছে।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চীন একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ চায় উল্লেখ করে আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তিনি বলেন, 'শান্তি ও স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। তাই যেকোনো সমস্যা গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা উচিত।'

তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশকে খুবই ভালো কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে এবং ২ দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে।

লি জিমিং বলেছেন, চীন চায় না বঙ্গোপসাগরের যে অঞ্চলটি বৈশ্বিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, সেখানে কোনো অস্ত্র প্রতিযোগিতা হোক।

এই রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এমনকি, ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো কৌশলগত শত্রুতা নেই। আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে অনেক আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।'

তিনি বহুবার ভারত সফর করেছেন এবং ভারত ও চীনের পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের জীবনধারা ও দর্শনের মিল রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন লি জিমিং।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাসহ দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের নিপীড়ন ও হত্যা করার পরও মিয়ানমার ইস্যুতে চীন কেন তাদের পক্ষে ভোট দিয়েছে জানতে চাইলে লি জিমিং বলেন, 'চীন মনে করে না যে পশ্চিমা চাপ মিয়ানমারের সমস্যা সমাধানে কোনোভাবেই সাহায্য করবে।'

তিনি বলেন, 'সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করতে হবে। এই সমস্যা সমাধানে এশিয়ান উপায় আছে। ইউরোপীয় বা আমেরিকান উপায় এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে না।'

তাহলে কেন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীন এ লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, 'আমরা নীরবে কাজ করছি। অবশ্যই, এর প্রভাব দেখা যাবে।'

সম্প্রতি মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে সীমান্ত বিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় বাংলাদেশ চীনের সহায়তা চাওয়ার পর মিয়ানমারে দেশটির রাষ্ট্রদূত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেই বার্তা পৌঁছে দেন।

মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করবে এবং প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে সমস্যা এখন রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই। তাই বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে।

জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় চীন বাংলাদেশকে কোনোভাবে সাহায্য করতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে লি জিমিং বলেন, 'চীন নিজেই একটি জ্বালানি আমদানিকারক দেশ এবং আমরা নিজেরাই সমস্যার সম্মুখীন।'

তবে বাংলাদেশ কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে পড়লে চীন নির্বিকার বসে থাকবে না বলে যোগ করেন তিনি।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।'

তবে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে মুদ্রা বিনিময় এবং চীন বা অন্য কোথাও বাংলাদেশের রপ্তানি ক্রমবর্ধমান উপায় হতে পারে বলে জানান এই কূটনীতিক।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh exports to EU

RMG exports to EU rise by 2.99% in Jan-Nov

In the 11 months, Bangladesh shipped garments worth $18.15 billion, second highest after China

1h ago