যুক্তরাষ্ট্র থেকে অফিসের ইচ্ছা বাদ দিয়ে ছুটির আবেদন তাকসিমের

তাকসিম এ খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান ৬ সপ্তাহের ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের জন্য আবারও স্থানীয় সরকার বিভাগে আবেদন করেছেন। আগের আবেদনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দায়িত্ব পালন করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও এবার তা বাদ দিয়েছেন তিনি।

ওয়াসা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাকসিম এ খান গত ৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ সপ্তাহের ছুটি এবং ছুটি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ভার্চুয়ালি ওয়াসার দায়িত্ব পালনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। 

তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ জানিয়েছে, বিভিন্ন পক্ষের ব্যাপক সমালোচনার কারণে ওয়াসার এমডি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দায়িত্ব পালনের অংশ বাদ দিয়ে আরেকটি নতুন ছুটির আবেদন জমা দিয়েছেন তাদের কাছে। 

এর আগে ৭ জুলাই তাকসিম এ খানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওয়াসা বোর্ড ২ মাসের ছুটি অনুমোদন করে। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমডির দায়িত্ব পালনের যে আবেদন তিনি করেছিলেন, তা প্রত্যাখ্যান করে বোর্ড।

ওই সময় বোর্ডের সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, 'কোনো সদস্যই এমডির আবেদন মঞ্জুর করতে রাজি হননি।'

ওয়াসা বোর্ডের সদস্য এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের অংশের মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, 'বোর্ড তাকসিম এ খানের ছুটি মঞ্জুর করেছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে দায়িত্ব পালনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।'

তাকসিম এ খান যদি ছুটিতে যান এবং ছুটি চলাকালীন সেখান থেকে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে তা ওয়াসার আইনের লঙ্ঘন হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে বোর্ড আবেদন প্রত্যাখ্যানের পরও তাকসিম এ খান গত ৭ সেপ্টেম্বর ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ সপ্তাহের ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি দায়িত্ব পালনের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রস্তাব পাঠান।

আবেদনে তিনি বলেন, বোর্ড তার চিকিৎসা ও পারিবারিক কাজে ১০ আগস্ট থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ২ মাসের ছুটি মঞ্জুর করে। কিন্তু সরকারি দায়িত্বের কারণে তিনি ওই সময় ছুটিতে যেতে পারেননি। ফলে তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য ৬ সপ্তাহের ছুটি চাচ্ছেন। তার অনুপস্থিতিতে এমডির পক্ষে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) একেএম শহীদ উদ্দিন বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেবেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ওয়াসার এমডির সবশেষ আবেদনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাজ করার কথা বলা হয়নি।'

চিঠিতে তিনি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি চেয়েছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

What's causing the unrest among factory workers?

Kalpona Akter, labour rights activist and president of Bangladesh Garment and Industrial Workers Federation, talks to Monorom Polok of The Daily Star about the recent ready-made garments (RMG) workers’ unrest.

8h ago