‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, টাকার বিনিময়ে আ. লীগের লোকজনও জড়িত’

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। তার দাবি, অর্থের বিনিময়ে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সরকারি দলের লোকজনও জড়িত।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আনা একটি সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আবুল কালাম আজাদ এ মন্তব্য করেন।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি যে বিষয়গুলো জানেন, কী ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে, তা তিনি সংসদে বিস্তারিত বলতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারলে তাকে বলতে পারতেন। ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে নিজেদের লোকও জড়িত।

তিনি বলেন, 'ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবিসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনেক সময় সঠিক তথ্য দেয় না।'

প্রধানমন্ত্রীকে নিজস্ব ম্যাকানিজমে তথ্য সংগ্রহ করে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা এবং জেলা উপজেলায় যারা কাজ করছেন, তাদের দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শও দেন আবুল কালাম আজাদ।

এসময় সংসদ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি–জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'দেশের বাইরে থেকে অনেক টাকা আসছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু লোক ঠিক করেছে, আওয়ামী লীগের যারা বিদ্রোহী প্রার্থী, তাদের ভেতরে বিভিন্নভাবে সামনে যেকোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত যাতে সফল হয়। এগুলো শক্ত হাতে দমন না করলে হবে না।'

জাতীয় সংসদে সাধারণ প্রস্তাবটি আনেন সরকারি দলের সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার প্রস্তাবে বলা হয়, 'এই মহান সংসদের অভিমত এই যে, যে ঘৃণ্য খুনিচক্র ও চক্রান্তকারী গোষ্ঠী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি। কিন্তু চক্রান্তকারীদের প্রেতাত্মারা এখনো ক্ষান্ত হয়নি। আজও তারা ঘৃণ্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরে এসে ইতিহাসের চাকাকে ঘুরিয়ে দিতে। তাদের এই ঘৃণ্য চক্রান্তকে সফল হতে দেওয়া যায় না। ইতিহাসের পাদদেশে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা, বাঙালির মহত্তম ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদকে বিনম্র চিত্তে ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি এবং বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেওয়ার শপথ গ্রহণ করছি, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে একাদশ জাতীয় সংসদের উনবিংশতম অধিবেশনে এই হোক প্রত্যয় দৃঢ় ঘোষণা।'

এই প্রস্তাবের ওপর সরকারি দল ও বিরোধীদল জাতীয় পার্টির একাধিক সদস্য আলোচনায় অংশ নিলেও বিএনপির কেউ তাতে অংশ নেননি।

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

1h ago