মন্ত্রীরা বস, আমলারা আসল বস

এই মুহূর্তে সরকারি কর্মকাণ্ডের সিদ্ধান্তগুলো কারা নিচ্ছেন— মন্ত্রী নাকি আমলারা? জবাব বেশ সুস্পষ্ট।

গত কয়েক বছরে ক্ষমতার গণ্ডিতে একটি বিশাল পরিবর্তন এসেছে। আমলারাই সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। মন্ত্রীরা সেগুলো সম্পাদন করছেন। নীতি প্রণয়ন হোক বা বাস্তবায়ন, জনপ্রতিনিধিদের ওপর সরকারি কর্মচারীদের প্রভুত্ব করতে দেখা যাচ্ছে সবখানেই।

সম্প্রতি প্রতিটি সংকটে, বিশেষ করে করেনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমলারা ছিলেন সর্বাগ্রে এবং রাজনীতিবিদরা ছিলেন এর বাইরে।

আমলারা কেবল চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই নিচ্ছেন না, সেই সিদ্ধান্তের বেশিরভাগের বাস্তবায়নও করছেন। যদিও ঐতিহ্যগতভাবে তা করার কথা রাজনীতিবিদদের।

মহামারি চলাকালীন লকডাউন দেওয়া থেকে শুরু করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রায় সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমলারা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মহামারি মোকাবিলায় গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে তার অসহায়ত্বের কথাও বলেছিলেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় কমিটির নেতৃত্বে থাকা মন্ত্রী বলেছিলেন, 'আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান, তবে সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমি অবগত নই।'

মহামারি আঘাত হানার কয়েক সপ্তাহ পরে ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল তিনি এক আলোচনায় বলেছিলেন, 'কারখানা কবে খুলবে, বা তারা আবার কবে থেকে কাজ শুরু করবে, অথবা মসজিদে কীভাবে নামাজের জামাত হবে—এসব বিষয়ের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমি খুব বেশি কিছু জানি না।'

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতিতে কৃচ্ছতা সাধনের মতো বিষয়সহ সব ধরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমলারা। এমনকি সরকারের জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা ছিলেন অন্ধকারে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ তেলের দাম বৃদ্ধির পর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা ছাড়াই এমন একটি উদ্যোগ আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রচণ্ড চাপে ফেলেছে।'

প্রকৃতপক্ষে, সরকার বছরের পর বছর ধরে প্রায় সব রাষ্ট্রীয় সংস্থার নেতৃত্বে দায়িত্বশীল ও সাবেক আমলাদের রেখেছে। যদিও এম মধ্যে কিছু পদে অভিজ্ঞ পেশাদারদের রাখা উচিত ছিল।

প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা এটিকে জনপ্রতিনিধি বা সিভিল সার্ভিসের বাইরের পেশাজীবীদের প্রতি সরকারের আস্থাহীনতা হিসেবে দেখছেন।

সাবেক আমলারা এখন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি), জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো অনেক সাংবিধানিক সংস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগে এই সংস্থাগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন সংশ্লিষ্ট পেশাদাররা।

দুঃখজনকভাবে, এসব উদ্যোগ অনেক ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেয়নি এবং কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর সমালোচনার মুখে পিছিয়ে যেতে হয়েছে।

কিন্তু এই পরিস্থিতি তৈরি হলো কীভাবে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনীতিবিদরা সমস্যাটি স্বীকার করেন না, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছে। অনেক রাজনীতিবিদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ডা. তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'রাজনীতিবিদরা নিজেরাই আমলাদের হাতে রাজনীতি তুলে দিয়েছেন। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিদের জয় নির্ভর করে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর। ফলে আমলারা জনপ্রতিনিধিদের ওপর হুকুম চালাচ্ছেন। বাস্তবে যা হওয়া উচিত ছিল উল্টোটা।'

তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ২ দলেই একজন ব্যক্তি সব সিদ্ধান্ত নেন এবং বাকিরা সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করেন।

'এই প্রকৃতির রাজনৈতিক দলগুলো জাতিকে সমাধানের দিকে নিয়ে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না', যোগ করেন তিনি।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের অভিমত, গণতন্ত্রে প্রতিটি সিদ্ধান্ত জনপ্রতিনিধিদেরই নেওয়ার কথা। কিন্তু এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে, বাংলাদেশ 'আমলাদের প্রজাতন্ত্র' হয়ে গেছে। সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তারাই নিচ্ছেন।

রাজনীতিবিদদের ওপর আমলাদের আধিপত্য এখন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত বিষয়। নেতারা অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।

কেন মন্ত্রীরা তাদের নিজ মন্ত্রণালয়ে গৃহীত বড় সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রায়শই আমলাদের ওপর নির্ভরশীল থাকছেন তা জানতে দ্য ডেইলি স্টার আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছে।

তাদের মতে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এই ধারা শুরু হয় এবং দলের বেশিরভাগ অভিজ্ঞ নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তার পরিবর্তে, তরুণ ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের মন্ত্রী করা হয়। এই মন্ত্রীদের সরকারের সঙ্গে কাজ তুলনামূলকভাবে নতুন হওয়ায় আমলারা পুরো সুবিধা নিয়েছিলেন। মন্ত্রিপরিষদের অনেক সদস্য আমলাদের তত্ত্বাবধান গ্রহণ করতে শুরু করেন।

তারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সব আমলা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী এবং তারা সরকারি কর্মকর্তার চেয়ে রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য বেশি পরিচিত।

বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সংসদ ও মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের অনুপস্থিতিকে দায়ী করেছেন নেতারা। তাদের মতে, ব্যবসায়ী থেকে সংসদ সদস্য হওয়া ব্যক্তিরা জাতীয় ইস্যুতে মনোযোগ দেওয়ার চেয়ে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে বেশি আগ্রহী।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান জাতীয় সংসদের ৬১ শতাংশ সদস্য ব্যবসায়ী, ১৩ শতাংশ আইনজীবী, ৫ শতাংশ রাজনীতিবিদ এবং ২১ শতাংশ অন্যান্য পেশার।

১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে মাত্র ১৫ শতাংশ বিজয়ী ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে শুরু করে এবং পরবর্তীতে জাতীয় নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা রাজনীতিবিদদের চেয়ে বেশি হয়। ১৯৯৬ সালের সংসদে ৪৮ শতাংশ সংসদ সদস্য ছিলেন ব্যবসায়ী। ২০০১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫১ শতাংশ, ২০০৮ সালে ৬৩ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে ৫৯ শতাংশ।

সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ২০০৫ সালে ক্ষমতাসীন দলে যোগদানকারী পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সাম্প্রতিক মন্তব্য রাজনীতিবিদদের অসহায়ত্বের যথার্থ সংক্ষিপ্তসার।

গত ২৭ জুন তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, স্থানীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে যারা গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ চান তাদেরকে আমলারা শক্তভাবে আটকে রেখেছেন।

তিনি বলেন, 'একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে এমনকি সচিবালয়ে একজন জুনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতেও হিমশিম খেতে হয়। একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে একজন সিনিয়র সহকারী সচিবের সঙ্গে দেখা করতে কয়েকদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।'

তিনি আরও বলেন, '১০০ টাকা বরাদ্দ পেতে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রথমে ২০ টাকা (তাদের পকেটে) দেখাতে হয়। ফলস্বরূপ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি যোগাযোগের পরিবর্তে কঠিন পথটাই বেছে নেন।'

কেন এমন পরিস্থিতি হলো জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল বলেন, 'এমনটা হতে বাধ্য। যখন রাজনীতিবিদদের জনপ্রিয়তা, তাদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা এবং দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্ধারণ করে এবং যখন সরকারি কর্মচারীদের নির্বাচনে ভূমিকা পালন করতে হয়, তখন এমন পরিস্থিতি অনিবার্য।'

গত বছর, সরকার ত্রাণ তৎপরতা তদারকির জন্য ৬৪টি জেলায় সচিবদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে। কিছু জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ এতে ক্ষুব্ধ হন এবং সেই সময়ে সংসদে তাদের হতাশা প্রকাশ করেন।

গত বছরের ২৮ জুন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ সংসদে বলেছিলেন, 'আমি দুঃখিত, এখানে বলা উচিত কি না জানি না। আমাদের জেলায় (ভোলা) একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা রাজনীতিবিদরা, মানুষকে সাহায্য করি। কিন্তু তারা মনে করছে যে সব সাহায্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দিচ্ছেন। এদিকে লক্ষ্য করা দরকার। আমাদের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রয়োজন, কিন্তু রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে নয়।'

একই মত প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, 'দেশে এখন রাজনীতি নেই। সচিবদের জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়... আমলারা দেশ চালায়।'

তিনি বলেন, 'কখনও কখনও, সংসদ সদস্যদের ডিসিদেরকে অনুরোধ করতে হয় যাতে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন এটি আইনপ্রণেতাদের গুরুত্বকে কমিয়ে দেয়।'

ব্যবসায়ী ও আমলারা দেশ চালাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা রাজনীতিবিদরা এখন তৃতীয় সারিতে দাঁড়িয়ে আছি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। কিন্তু এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন রাজনীতিবিদরা।'

মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে যখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অস্থিরতা, তখন আমলারা আবারও অগ্রণী ভূমিকায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন তারাই করছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের নির্দেশে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, কিছু সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ফলাফল দেয়নি, আবার কিছু জনবান্ধব ছিল না।

চলতি মাসের শুরুতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে বিরক্ত হন। এরপর থেকে সংকট মোকাবিলায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদের কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।

রাজনীতিবিদরা শুধু জাতীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতেই ব্যর্থ হননি, বরং সাধারণ মানুষের কষ্টও তুলে ধরতে পারছেন না।

গত ১৫ আগস্ট বরগুনায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে রাজনীতিবিদদের অসহায়ত্বের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।

ওই দিন, জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে ছাত্রলীগের অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটে। তাকে দেখা গেছে পুলিশকে বারবার অনুরোধ করতে, যেন তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারধর না করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ৫ বারের এই সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছেন।

এই ঘটনার পর বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়।

কিন্তু এ ধরনের সংকটের মধ্যে কীভাবে রাজনীতিবিদরা তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন?

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই কেবল এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

4h ago