কিছু রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, মিডিয়া সরকারের পতন চায়: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল, কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কিছু কিছু মিডিয়া চায় এ সরকারের পতন হোক। তারা সরকারকে সমর্থন করে না।
ঢাকার ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কর্মশালায় কথা বলছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: স্টার

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল, কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কিছু কিছু মিডিয়া চায় এ সরকারের পতন হোক। তারা সরকারকে সমর্থন করে না।

তিনি আরও বলেন, 'গণতান্ত্রিক পরিবেশে এটি স্বাভাবিক। সরকারকে সবাই সমর্থন করে না। সব দলও করে না। দেশে একটি কৃত্রিম অস্থিরতা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা  গ্রহণযোগ্য না। এটি আমরা মেনে নিব না। এটি বৈধ সরকার, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।'

আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ঢাকার ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে এক কর্মশালা কৃষিমন্ত্রী এসব বলেন।

নিত্য প্রয়োজনীয় ফসলের (খাদ্য শস্য) চাহিদা ও যোগান নিরূপণ বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল। বিএআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, '২০২৩ সালে নির্বাচন হবে, নির্বাচন পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার, আমরা সরকারি দল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিব। আমরা অবশ্যই বলছি, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ, মধ্যম আয়ের মানুষ তাদের আয় সীমিত। যাদের সীমিত আয় তাদের কষ্ট হচ্ছে। সবজির দাম বেশি, অনেক খাবারের দাম বেশি, আমরা চেষ্টা করছি এটাকে কমিয়ে রাখার জন্য। সারা পৃথিবীতে ক্রাইসিস। ইউক্রেন যুদ্ধের নামে অস্থিরতা চলছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ চায় দেশটা যাতে শ্রীলঙ্কা হোক। আমরা দেখেছি ২০১৩-২০১৫ সালে হরতাল, অবরোধের নামে গাড়ি পুড়িয়েছে, আগুন দিয়েছে। মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, যেটি আর করতে দেওয়া হবে না দেশে।'

তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের সারের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সারের প্রয়োজন তার চেয়েও অনেক বেশি সার আমাদের গুদামে আছে। মেজর ফার্টিলাইজার যেমন- নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সালফার, জিংক যা প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি আছে।। তারপরেও আমরা প্রায়ই নিউজে দেখছি, অনেক জায়গায় সারের দুষ্পাপ্যতা। অনেক কিছুর দাম বেড়েছে, গাড়ির ভাড়া বেড়েছে। এর প্রেক্ষিতে কিছু কিছু অসাধু মিলার, ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারে দাম বাড়িয়েছে।'

তিনি বলেন, 'আমরা আগামী বোরো মৌসুমের জন্য সারের ব্যবস্থা করছি। যাতে সারের সমস্যা না হয়। বিশেষ করে পটাশিয়াম বেলারুশ, রাশিয়া থেকে আসে। এ ২টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি, তবে রাশিয়ার সারের ওপর তুলে নিয়েছে। তারপর ব্যাংকিং সমস্যা আছে। সারের অভাবে যেন ফসল নষ্ট না হয় সেজন্য কাজ করছে মন্ত্রণালয়।'

'আমাদের মিলাররা খুব চালাক। তারা প্রোফিট করতে চায়। তারা দেখছে, আমনের উৎপাদন কমে যাবে। এজন্য এখনি মজুদ করছে। মোটা চালের দাম বাড়ার এটিও একটি কারণ। আমাদের গুদামে প্রায় ১৮-১৯ লাখ টন খাদ্য আছে। যেটা ১০-১২ লাখ টন থাকলেও চলে।'

Comments

The Daily Star  | English

Former planning minister MA Mannan arrested in Sunamganj

Police arrested former Planning Minister MA Mannan from his home in Sunamganj's Shatiganj upazila yesterday evening

3h ago