সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ

মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকাগামী দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। জেলার শ্যামনগরে  শ্রমিকদের সংঘর্ষের জেরে যশোরের কাউন্টারে তালা লাগিয়ে পরিবহন আটকে দেওয়ার প্রতিবাদে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রেখেছেন মালিক সমিতি।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকাগামী দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। তবে, সমস্যা সমাধানে মালিক সমিতির বৈঠক চলছে বলে জানা গেছে।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কলিমাখালি গ্রামের আবুল কালাম জানান, তিনি ঢাকা যাওয়ার জন্য আজ সকাল ১১টার সাতক্ষীরা এসেছিলেন। কিন্তু এসে জানতে পারেন যাত্রীবাহী কোনো পরিবহন ঢাকায় যাচ্ছে না।

কালীগঞ্জ উপজেলার তারালি গ্রামের কনিকা রানী পাল জানান, তিনি ঢাকায় যাওয়ার জন্য আগে থেকে টিকিট কাটেন। আজ দুপুরে কাউন্টারে এসে শোনেন কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন ঢাকায় যাচ্ছে না। তার এক আত্মীয় বিদেশ থেকে আজ রাতেই ঢাকায় আসবেন। তাকে রিসিভ করতে তার ঢাকা যাওয়া দরকার।

সাতক্ষীরা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আহবায়ক সাইফুল করিম সাবু বলেন, 'সোমবার যশোরে সাতক্ষীরার পরিবহন কাউন্টারে তালা লাগিয়ে দিয়েছে যশোর মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। এ কারণে সাতক্ষীরা থেকে পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা। গত ৫ আগস্ট শ্যামনগরে শ্রমিকদের সঙ্গে মারামারি হয়। তখন শ্যামনগরের শ্রমিকরা যশোরের গাড়ি শ্যামনগর যেতে বাধা দেয়ে। যশোরের গাড়ি কালীগঞ্জে আটকে দেয় শ্রমিকরা। পরে ছেড়েও দেয়।'

'সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যশোর মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতারা যশোরে থাকা সাতক্ষীরার পরিবহন কাউন্টারগুলোতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে,' বলেন তিনি।

সাতক্ষীরা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ হোসেন বলেন, 'বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিকদের দ্বন্দ্ব। কিন্তু, আমাদের যশোরের অফিসগুলোতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে সোমবার দুপুরে শ্যামনগরে কিংফিশার বাস ভাঙচুর করে শ্রমিকরা। এর জের ধরে যশোরে অবস্থিত সাতক্ষীরা পরিবহনের কাউন্টারগুলো রাতে তালা মেরে পরিবহন আটকে দেয় সেখানকার মালিক-শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার সব পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank signals market-based exchange rate regime

The central bank will allow the exchange rate of the dollar to be determined by market forces

36m ago