কক্সবাজারে ২ দিনের ব্যবধানে হোটেল থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোন কলাতলী সড়কের আবাসিক হোটেল দ্য আলম রিসোর্ট থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।

পর্যটকের নাম কাউসার আলম (২৬) । তিনি জয়পুরহাট জেলা সদরের দিঘিপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দীন বলেন, 'গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দ্য আলম রিসোর্ট নামের হোটেলের ৪০৬ নম্বর কক্ষ থেকে কাউসারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খাটের ওপর তার মরদেহ পড়ে ছিল। কক্ষটি থেকে একাধিক চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটগুলো তার হাতের লেখা কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশ কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে বলা যায় যুবকটি হতাশা থেকেই আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।'

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোটেল থেকে উদ্ধার করা একটি চিরকুটে মৃত্যুর জন্য এক নারীকে দায়ী করা হয়। আর অন্য কেউ দায়ী নয় বলে চিরকুটে উল্লেখ করা হয়।

আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ও ট্যুরিস্ট পুলিশের পৃথক দল ঘটনাস্থলে যায়। রাত ১১টার দিকে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে উখিয়া সদর স্টেশনে এলাকায় আবাসিক হোটেল আরাফাত এর ৩০৪ নম্বর কক্ষ থেকে ইয়াসমিন আকতার (১৯) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল মরেদহটি। ইয়াসমিন উখিয়া উপজেলার কুতুপালং পুরাতন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ডি ব্লকের বসবাসরত আবদুল গফুরের সন্তান বলে নিশ্চিত করেছেন ইয়াসমিনের মা জহুরা খাতুন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, সোমবার রাতে একা হোটেলটির একটি কক্ষ ভাড়া নেয় ওই তরুণী। মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে কক্ষের দরজা ভেঙ্গে তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

গত সোমবার রাতে কক্সবাজার জেলা শহরের কলাতলী চৌরাস্তার ওয়ার্ল্ড বিচ আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে সৌরভ সিকদার (২৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। তিনি কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা। কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকতেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

People cautioned of travelling to India, affected countries as Covid spreads

DGHS has also instructed to enhance health screening and surveillance measures at all land, river, and airports

6h ago