উপজেলা নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি: দলের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছেন আ. লীগের এমপিরা

ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি কৌশলগত সিদ্ধান্তও নেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু সেগুলো মানছেন না দলটির সংসদ সদস্যরা (এমপি)।

এমনই আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হয় গতকাল।

আওয়ামী লীগের সব এমপিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে যাতে তাদের পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী না হন তা নিশ্চিত করতে। কিন্তু প্রায় সব নেতাই এ নির্দেশনা উপেক্ষা করেছেন। তা ছাড়া, কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই কাউকে বিজয়ী না করার সিদ্ধান্তও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।

৮ মে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রথম ধাপে মন্ত্রী ও এমপিদের প্রায় ১৬ জন নিকটাত্মীয় বা পরিবারের সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন গতকাল কেবল একজন এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি হলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে—সেই সম্ভাবনা উপেক্ষা করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দলীয় নির্দেশনা না মানার বিষয়টি এবারই প্রথম নয়। এর আগেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ একই ধরনের হুঁশিয়ারি দিলেও পরে নির্দেশনা উপেক্ষাকারী নেতাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করতে হয়।

এমনকি তৃণমূলকে দলের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য করতে আওয়ামী লীগ তাদের সনদে বহিষ্কারের বিধানও সংশোধন করেছে। কিন্তু তাতেও আশানুরূপ ফল মেলেনি।

ক্ষমতাসীন দলটি এখনো আশাবাদী যে, ৮ মের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এমপিদের আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ নেতাকে সমর্থন করবেন। এই নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন Relatives in UZ Polls: Unfazed, AL MPs breach party directive

Comments

The Daily Star  | English
International Crimes Tribunal 2 formed

Govt issues gazette notification allowing ICT to try political parties

The new provisions, published in the Bangladesh Gazette, introduce key definitions and enforcement measures that could reshape judicial proceedings under the tribunals

3h ago