যৌক্তিক কারণ ছাড়া মাঠ প্রশাসনে কোনো রদবদল হবে না: ইসি আলমগীর

তিনি বলেন, আরপিও অনুযায়ী, পুলিশের কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার এবং এর নীচের পদের কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি করা যাবে না।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়া মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রদবদল করা হবে না বলে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর জানিয়েছেন।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, 'যদি দেখা যায় যে কোনো অফিসার নিরপেক্ষ নন, তার আচরণে ও কাজে প্রমাণ হয়েছে, তখন বদলি করব।'

এ সময় তিনি সম্প্রতি জামালপুরের জেলা প্রশাসককে বদলির কথাও উল্লেখ করেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আরপিও অনুযায়ী, পুলিশের কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার এবং এর নীচের পদের কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি করা যাবে না।

'সরকার চাইলে তাদের বদলি করতে পারবে না,' বলেন তিনি।

'কোন যুক্তিতে আমরা সবাইকে বদলি করব' উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, 'একটা যুক্তি তো থাকতে হবে। এছাড়া তাদের যে ভ্রমণভাতা, কে দেবে?'

সরকার নিজেদের সুবিধামতো প্রশাসন সাজিয়ে নিচ্ছে, এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, '১৯৭০ সাল থেকে এই অভিযোগ শুনছি। অযৌক্তিক কারণে কাউকে বদলি নয়। যদি যৌক্তিক থাকে যে এই অফিসার নিরপেক্ষ নয় তাহলে সরিয়ে  নেব।'

নির্বাচন আচরণবিধির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, 'আচরণবিধিতে সবকিছু নিষিদ্ধ করা নেই। যেগুলো নিষিদ্ধ সেগুলোর জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। পার্টি অফিসে মনোনয়ন ফর্ম কেনা আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। অফিসের ভেতরে তারা কী করল না করল এটা আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না।'

তিনি আরও বলেন, 'আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রার্থীদের আচরণবিধি দেখবেন।'

'রাজনৈতিক দল ভোট চাইতে পারে' জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, 'যেহেতু এখনো কোনো প্রার্থী নেই, তারা ভোট চাইলে দলের জন্য ভোট চাইছে। ভোট তো সারাবছরই চাচ্ছে এটা কোনো সমস্যা না। তবে এলাকায় শো-ডাউন করলে সেটা আচরণবিধির মধ্যে পড়বে।'

Comments