আজ সন্ধ্যা ৭টায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি

cec.jpg
কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি।

এমন এক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সিইসি এই তফসিল ঘোষণা করবেন, যখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চাচ্ছে তারা ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন আয়োজন করবে। অন্যদিকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো চাচ্ছে সরকারের পদত্যাগ ও ইসি পুনর্গঠন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।

আগামী ৬ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচন হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

একাধিক নির্বাচন কমিশনার দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, এবারের জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সম্ভাবনা নেই। কারণ, এতগুলো ক্যামেরার ফিড পর্যবেক্ষণ করা কঠিন হবে।

ইসি কর্মকর্তারা ডেইলি স্টারকে জানান, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পাঠানোর জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদস্যদের মোতায়েন করা হতে পারে। নির্বাচন শুরুর আগে দুই বা তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট নিয়ে যেতে পারবে তারা।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হলেই প্রচারণা শুরু করা যাবে।

মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যানবাহন ব্যবহার বা অন্যান্য সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। তাদের সরকারি তহবিল থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেওয়ারও অনুমতি নেই।

এই সময়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকারকে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন বা উদ্বোধন করতেও দেওয়া হবে না।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও বিলবোর্ড সরানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাসহ নির্দেশনা দেবে ইসি।

নির্বাচন কমিশন ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জনের হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে।

প্রাথমিকভাবে প্রাক্কলন করা হয়েছিল, নির্বাচন আয়োজনে প্রায় এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

20h ago