পোলিং এজেন্টদের দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে: সিইসি
বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, পোলিং এজেন্টদের দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপিসহ ১৮টি দল আসেনি, ভবিষ্যতে তারা আসবে বলে আশা করেন কি না জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের সিইসি বলেন, 'আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সব সময়ই বলে এসেছি, সব রাজনৈতিক দলের, বিএনপিও, নির্বাচনে উনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করি। কেউ পছন্দ করুক বা না করুক। আমরা আমাদের নির্বাচন করব।
'তাদের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান থাকবে, আপনারা আসুন।
কীভাবে আসবেন সেই কোর্স তো আমরা চার্ট করে দিতে পারব না। আপনারা আসুন। আমাদের শুভ কামনা থাকবে। আপনারা অংশগ্রহণ করে সফল হোন, সেই শুভ কামনা আমাদের থাকবে,' বলেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'নির্বাচন প্রশ্নে তাদের যে দায়িত্ব, অনেকেই মনে করেন; কেউ কেউ, সকলে না—নির্বাচন কমিশন এককভাবে একটা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেবে। অনেকেই বলেছেন, আমরা বুঝি, নির্বাচন কমিশনের সামর্থ্য অত্যন্ত সীমিত।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সামর্থ্য সীমিত। আমরা নির্বাচন আয়োজন করব। নির্বাচন পরিচালনার যে দায়িত্ব, সেটা আমাদেরকে হস্তান্তর করে দিতে হয়। সেখানে যাদের কাছে আমরা হস্তান্তর করব, তাদের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে কিন্তু সবচেয়ে বড় নজরদারি থাকতে হবে রাজনৈতিক দলের এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের।
'যদি দলীয়ভাবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, কার্যকরভাবে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে প্রতিটি কেন্দ্রে, ১৫০ হোক, ২৫০ কেন্দ্র হোক, সেখানে অতি অবশ্যই পোলিং এজেন্ট দিতে হবে। পোলিং এজেন্ট দিয়ে স্ব স্ব স্বার্থরক্ষা করতে হবে,' যোগ করেন তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'আমরা বলেছি, পোলিং এজেন্ট যদি পারচেজ হয়ে যায়, আমাদের করার কিছু থাকবে না। পোলিং এজেন্ট যদি আপনাদের প্রোটেক্ট করতে না পারে, আমরা কিন্তু আপনাদের প্রোটেক্ট করতে পারব না।
'আমরা ইন্টারেক্ট করেছি যাতে আগামী নির্বাচনটা সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সকলের সক্রিয় দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। আমি এককভাবে সব কিছু ঠিক করে দেবো—তা নয়। তাদেরকেও স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তারা যদি দায়িত্ব পালন করেন, আশা করি সকলে উজ্জীবিত হবেন, উদ্বুদ্ধ হবেন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনেকে আগ্রহী হবেন,' বলেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, 'আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, আমাদের স্পেস এবং টাইমটা খুব সীমিত। আমরা কিন্তু অনেক বেশি স্পেস নিয়ে কাজ করতে পারি না। আমাদের জন্য সংবিধানে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। আমাদের পাশেও খুব বেশি স্পেশ নেই। সামনেও খুব বেশি স্পেস নেই, পেছনেও খুব বেশি স্পেস নেই।'
Comments