এমপি সংগ্রামের বিরুদ্ধে ইসিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারকাজে অংশ নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে স্থানীয় সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী।
ওই লিখিত অভিযোগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের এই সংসদ সদস্যের বক্তব্যের ভিডিও, ছবি এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কপিও জমা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল আলম গত ১০ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে এই অভিযোগ দেন।
শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত ওই লিখিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে নাসিরনগর উপজেলা সদরের সরকারি ডাকবাংলোতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আল মামুন সরকারের পক্ষে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। তিনি এ সময় স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে আল মামুন সরকারের আনারস প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট প্রার্থনা করেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অভিযোগপত্রে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে গেজেট আকারে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের ১ নম্বর ধারার ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অর্থাৎ- প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য বা তাদের সমমর্যাদার কোন ব্যক্তি উপজেলা, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন চলাকালীন কোনো ধরনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা সংক্রান্ত নির্দেশনা আছে। এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম চলতি জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারকাজে অংশগ্রহণ করায় তার প্রভাব নাসিরনগর উপজেলা তথা পুরো জেলাজুড়ে পড়বে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের ব্যাপারে আমি ও আমার ভোটাররা শঙ্কিত। এজন্য আমি তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কমিশন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।'
সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেনের ভাষ্য, এই লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, '(নির্বাচনে) তার (শফিকুল আলম) অবস্থা খারাপ বলেই তিনি এমন অভিযোগ করেছেন। আমি যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকি, তাহলে নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে যেটা করার করবে।'
Comments