আ. লীগ কার্যালয়ে হামলা: এমপি রতনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ ইসির
সুনামগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও নৌকার সমর্থকদের গালিগালাজের অভিযোগে আজ শনিবার মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আব্দুস সালামের সই করা আদেশে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে শিগগির ধর্মপাশা থানায় এজাহার দায়ের ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এজাহার গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিদের্শনায় বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, নুরে আলম নুরু, আবুল কাশেম, হাশেম, মোজাহিদ ও তোফায়েল গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের ওপর আকস্মিক হামলা করে।
এ সময় তারা কর্মীদের ফোন ভাঙাসহ নৌকা মার্কার ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। নৌকার নির্বাচনী অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন এবং নৌকার সমর্থকদের গালিগালাজ, কিলঘুষি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন।
নির্দেশে আরও উল্লেখ করা হয়, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার সহযোগীরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন বলে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনকে প্রতিবেদন দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এজাহার দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে। দ্রুতই ধর্মপাশা থানায় এজাহার দায়ের হবে।'
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচন অফিস থেকে এজাহার দায়ের করা হলে তা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments