পাবনা-৩

আ. লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোয় ৯ শিক্ষককে শোকজ

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে পাবনা-৩ আসনের অন্তর্গত ভাঙ্গুরা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নয় জন শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
জাতীয় নির্বাচন ২০২৪
প্রতীকী ছবি

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে পাবনা-৩ আসনের অন্তর্গত ভাঙ্গুরা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নয় জন শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

বৃহস্পতিবার পাবনা-৩ আসনের জন্য গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. তাজউল ইসলাম এই নোটিশ দেন।

নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন ভাঙ্গুড়ার মাদারবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন, সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসানুজ্জামান স্বপন, খানমরিচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকারী শিক্ষক আব্দুল সোবাহান, চকদিগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, সুলতানপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, পুকুরপাড় আইডিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান, একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আলী এবং মন্ডতোষ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক আহম্মেদ।

এদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, 'আপনি (আপনারা) একজন শিক্ষক হয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মকবুল হোসেনের পক্ষে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) এর প্রধান এজেন্ট মো. আব্দুল ওয়াহিদ নিম্ন স্বাক্ষরকারী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার প্রেক্ষিতে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে আপনার (আপনাদের) বিরুদ্ধে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত একজন শিক্ষক হিসাবে নৌকা প্রতীকের পক্ষে সরাসরি প্রচার প্রচারাভিযান সহ ভোট প্রার্থনার বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা আপতদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়েছে।'

আগামী ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সামনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে তাদেরকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিষয়টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করছে। তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

অভিযুক্ত শিক্ষকদের নির্বাচনী দ্বায়িত্ব প্রদান করা হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments