যমুনা সার কারখানার জিএমকে লাঞ্ছিত: ৪ জনকে বদলি

যমুনা সার কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপককে (জিএম) লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ৪ কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। একই ঘটনায় কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএস) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বদলিকৃত ৪ জনসহ ১৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) উপ-কর্মচারী প্রধান (এলএসএ) মো. কামরুজ্জামান শেখের সই করা পত্রে এ দপ্তরাদেশ দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে যমুনা সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানার জিএম (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি তদারকির দায়িত্ব পান। গত ২ জানুয়ারি সকালে দেলোয়ার হোসেন কারখানার প্রধান গেটে অবস্থান নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে যোগদানের সময়-সূচি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টায় কাজে যোগদানের সময় নির্ধারিত থাকলেও তা উপেক্ষা করে ব্যাগিং সেকশনের মাস্টার অপারেটর ময়েন উদ্দিনসহ অনেকে সকাল ৯টায় কারখানা গেটে আসেন।

দেলোয়ার হোসেন তাদেরকে হাজিরা খাতায় সময় উল্লেখ করে সই করতে বলেন। এতে ব্যাগিং সেকশনের মাস্টার অপারেটর ময়েন উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে জিএম প্রশাসনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। গেটে সই করতে বলার বিষয়টি জানতে পেরে যমুনার সিবিএ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলীও উত্তেজিত হয়ে উঠেন। পরে তারা অন্য শ্রমিকদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের পাশে জটলা তৈরি করেন। একপর্যায়ে সিবিএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জিএম প্রশাসনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

ওইদিনই বিসিআইসির জিএম (পারসেল) শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয় বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যমুনা সার কারখানার মাস্টার অপারেটর ময়েন উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, মাস্টার অপারেটর আব্দুস সালাম ও কাগজকল হেলপার আবুল হোসেনকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এ ছাড়া যমুনা সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএস) সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, তুলা মিয়া (এসটি-১), রসুল মিয়া, মাস্টার টেকনিশিয়ান হেলাল উদ্দিন, ফজলুল হক খান, নূরে আলম খান, একেএম মাহবুবুর রহমান, ময়েন উদ্দিন, মাস্টার অপারেটর আব্দুস সালাম, কাগজকলম হেলপার আবুল হোসেন, রেকর্ড মাস্টার শাহিন হোসেনসহ ১৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক মো. শহীদুল্লাহ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যমুনার জিএমকে (প্রশাসন) লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারখানার ৪ কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়াও, অপর ১৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ।'

সিবিএস সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি এখনো কোনো নোটিশ পাইনি। তাই এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না।'

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands. 

1h ago