‘রাতে ভোট নিয়ে মন্তব্য’, নোবিপ্রবি কর্মকর্তাকে বদলি-কারণ দর্শানোর নোটিশ

ছবি: সংগৃহীত

'রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য' দেওয়ার অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. ওয়াহেদ উল্লাহকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তাকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে গ্রন্থাগারে বদলিও করা হয়েছে এ ঘটনায়।

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. আব্দুল বাকীর সই করা কারণ দর্শানোর নোটিশটি আজ বুধবার সকালে ওই কর্মকর্তা গ্রহণ করেন। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশ প্রদানকারীর কাছে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে তাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর  আজ সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গত সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ ওয়াহেদ উল্যা চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, 'কিসের শুদ্ধাচার? যেখানে দিনের ভোট রাতে অনুষ্ঠিত হয়।' এই বক্তব্য নিয়ে ক্যাম্পাস জুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়।

মোহাম্মদ ওয়াহেদ উল্যা চৌধুরী কারন দর্শানোর নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার শুদ্ধাচার ও নিয়ম শৃঙ্খলা বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যদিও পঞ্চম গ্রেডের কোনো কর্মকর্তার এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের কথা নয়, তারপরও আমি ওই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ চলাকালীন শুদ্ধাচার নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে সরকারের কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অতি উৎসাহী অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে পুরো সংস্থার বদনাম হয়।'

তবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেননি বলে দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে নোটিশদাতা অধ্যাপক মো. আবদুল বাকীর সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপ- উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী রবি চন্দ্র দাস ফোন করে জানান, 'স্যার মিটিংয়ে আছেন।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Cops gathering info on polls candidates

Based on the findings, law enforcers will assess security needs in each constituency and identify candidates who may pose risks.

13h ago