হয় জিতব, নইলে মরব, মাঝামাঝি ঝুলব না: কাজী জাফর উল্যাহ

কাজী জাফরুল্লাহ
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ বলেছেন, 'নিক্সন, তুমি ভাবছো চাচা চইলা গেছে, খুব ফুর্তি করতেছো খোলা মাঠে গোল দিবা, তা হবে না। আমার জান থাকা পর্যন্ত গরিবের হক খাওয়ার দিন তোমার শেষ। হয় জিতব, আর নাইলে এখানে মরব, মাঝামাঝি ঝুলব না।'

ফরিদপুরের সদরপুরে কৃষ্ণপুর বাজারে এক নির্বাচনী সমাবেশে এ কথা বলেন কাজী জাফর উল্যাহ। আজ রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ সমাবেশ হয়। মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের নাম উল্লেখ না করে বলেন, 'তুমি পড়ছো ক্লাস এইট পর্যন্ত আর ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়েছো মাদ্রাসা থেকে।'

এই সমাবেশের আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৈলডুবি গ্রামে এক উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন কাজী জাফর উল্যাহ।

কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, 'যদি আপনারা অধিকার রক্ষা করতে চান, আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে চান, কর্মসংস্থান চান—এক সময় হাটকৃষ্ণপুর ছিল বড় ব্যবসায় কেন্দ্র, এক নামে সবাই চিনতো—আবার যদি সেই সুনামে ফিরে যেতে চান দয়া করে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন আমাকে।'

তিনি বলেন, 'আপনাদের ওয়াদা দিতে পারি। শেখ হাসিনার মতো আমিও যা বলি করে দেখাই। অতএব, আপনাদের উন্নয়নের মহাসড়কে আনবো, ভাগ্যের পরিবর্তন করবো, আপনাদের মুখে হাসি ফোটাবো।'

কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, 'আমাদের যে বর্তমান এমপি তার এত টাকা আর এত ক্ষমতা; সে মানুষকে মানুষ ভাবে না। আমার মতো একজন বয়স্ক মানুষকেও তিনি বলে থাকেন আমার মা একটা ফকির আর আমি হইলাম ফকিন্নির সন্তান। আমাকে ফকিন্নির সন্তান বলা মানে তো আমার মা ফকিন্নি, না কি? এই হলো তার ভাষা। এটা কোনো রাজনৈতিক ভাষা? কোনো ভদ্রলোকের ভাষা? এটা কোনো ভালো লোকের ভাষা? আমি কি ফকিন্নির সন্তান?'

তিনি আরও বলেন, 'এর আগে আমাকে বলছে, ল্যাংটা কইরা মান্দার গাছে উঠাবে। এটা কি কোনো রাজনৈতিক ভাষা? এই রকম তার সাহস হয়ে গেছে। টাকার গরমে সে এখন কৃষ্ণপুর থেকেও কিছু গরু ছাগল কিনেছে। ওই গরু ছাগলগুলো শুনছি আজকেও গোলমাল করতে আসছিল। সহজ ভাষায় বলতে চাই, আমরা কোনো গোলমাল পাকাতে চাই না। এইখানে গরিব দুঃখী মানুষ যা বলবে তাই হবে। মাস্তানদের এখানে কোনো জায়গা থাকবে না।

কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, 'নিক্সন কইছে, চাচার যদি টাকা লাগে আমি টাকা দেবো। তাইলে সে কত টাকার মালিক, কত সে গরম। যে আমারেও টাকা দিয়ে কিনতে চায়। আপনারা মনে করেন না তারে একটা উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত, দাঁত ভাঙ্গা শিক্ষা দেওয়া উচিত।'

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক, কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, সাবেক চেয়ারম্যান হিরু চৌধুরী প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh sees window of opportunity in Trump’s trade war

US President-elect Donald Trump’s trade policies towards China and Mexico could ultimately benefit Bangladesh, according to local apparel exporters.

9h ago