নিক্সন চৌধুরী ও তারিন হোসেনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

আদালতের আদেশের প্রতিকী রূপ। ছবি: সংগৃহীত
আদালতের আদেশের প্রতিকী রূপ। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের মামলায় ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিহাব সালামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন রেজাউল করিম রেজা।

আবেদনে তিনি বলেন, এই দম্পতি যেকোনো সময় দেশ ছাড়ার চেষ্টা করতে পারেন। তারা বিদেশে গেলে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত ব্যাহত হতে পারে। যে কারণে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি দুদক তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলা করে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনে নিক্সন সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১১ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এছাড়া, সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর ছোট ভাই নিক্সন তার নামে ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এক হাজার ৪০২ কোটি ৫১ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।

অবৈধ অর্থপাচার ও উৎস গোপন করতেই এসব লেনদেন করা হয়েছে,  উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

দ্বিতীয় মামলায় তারিন হোসেনকে প্রধান আসামি এবং নিক্সনের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, স্বামীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় তারিন জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আট কোটি পাঁচ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন।

তিনি তার নিজের ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এক হাজার ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শিহাব সালাম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছিলেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, অবৈধ অর্থ স্থানান্তর ও তথ্য গোপনে এসব হিসাব ব্যবহার করা হতো।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

7h ago