ফ্ল্যাটে মিলল বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ, টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট
![নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/very_big_201/public/images/2021/11/28/narayanganj_15.jpg)
নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে উৎপল রায় নামে এক বৃদ্ধের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
সোমবার রাতে টানবাজার সাহাপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধারের কথা জানান সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল উদ্দীন৷
নিহত উৎপল রায় (৬৫) এলাকার একটি সাততলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন৷ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, উৎপল রায় স্ত্রী বিয়োগের পর ওই ফ্ল্যাটে বড় ছেলের সঙ্গে থাকতেন৷ তার আরেক ছেলে প্রবাসে থাকেন৷ গতরাতে বড় ছেলে এনজিও কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায় বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ দেখেন৷ বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাবার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান৷
পুলিশ কর্মকর্তা জামাল উদ্দীন বলেন, উৎপল রায়ের গলা ধারালো কিছুর মাধ্যমে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বাসা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনাও ঘটেছে৷
এ ঘটনার পর থেকে ওই ভবনের দারোয়ানের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না৷ পুলিশের ধারণা, দারোয়ান এ লুট ও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন৷
নিহতের বড় ছেলে উজ্জ্বল রায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের একটি প্রকল্পের পরিচালক। তিনি জানান, তার বাবা অবসরে যাওয়ার আগে স্থানীয় একটি আটা-ময়দার কারখানায় চাকরি করতেন৷ প্রতিদিন সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পর তার বাবা সারাদিন বাড়িতে একাই থাকতেন।
উজ্জ্বল রায় বলেন, 'বাসায় একজন নারী গৃহকর্মী আছেন। একজন দারোয়ান টুকটাক কাজ করে দেন। বাবা সাধারণত পরিচিত কোনো লোক ছাড়া দরজা খোলেন না৷ যিনি বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা বাবার পরিচিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।'
দারোয়ানকে নিয়ে দরজা ভাঙলেও এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান উজ্জ্বল। ঘর থেকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ ও দেড় লাখ টাকা খোয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি৷
Comments