গাইবান্ধায় যুবলীগ নেতাকে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা, আটক ৪

গাইবান্ধায় যুবলীগ নেতাকে হাত-পায়ের রোগ কেটে হত্যা, আটক ৪
জাহিদুল ইসলাম | ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার সকালে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জাহিদুলের বাড়ি উপজেলার বৈদ্যনাথ গ্রামে। তার বাবার নাম আবুল হোসেন। জাহিদুল সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ভোররাত আড়াইটার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাহিদুলের মৃত্যু হয়। রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় তিনি হামলার শিকার হয়েছিলেন।

স্বজনের অভিযোগ, রাজনৈতিক বিরোধের কারণে জামায়াত-বিএনপির লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

একই অভিযোগ তুলেছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান লিটু। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই এলাকায় জামায়াত-বিএনপি এক প্রকার তাণ্ডব চালিয়েছে। জাহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন। সেই কারণে জামায়াত-বিএনপির লোকজন তাকে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে।

'আমরা এই ঘটার সুষ্ঠু তদন্ত এবং খুনীদের বিচার চাই। এই দাবিতে আজ আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ করব,' বলেন মিজানুর রহমান।

আজমিরুজ্জামান বলেন, 'হামলার পরে জাহিদুল ইসলাম পুলিশকে বলেছেন যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জামায়াত-বিএনপির লোকজন তাকে কুপিয়েছেন। তিনি কয়েকজনের নামও বলেছেন।

'আমরা এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন চার জনকে আটক করেছি। মামলার প্রক্রিয়া চলমান,' বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago