ঝিনাইদহে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলার জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
গতরাতে উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ওই গ্রামে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন, মো. আসালত খান (৩০), সেলিম খান (২৫), রোজিনা খাতুন (২২), মোসলেম খান (৩২), মো. তুহিন খান (২৮), হোসাইন হোসেন (৪০) ও সাদ্দাম হোসেন (৩৪)। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।
আহতদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে আহতদের মধ্যে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া কয়েকজন অজ্ঞাত কারণে গোপনে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শৈলকূপার ধলহরচন্দ্র ইউনিয়নে শিক্ষার্থী রানা হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সমর্থক নায়েব আলী জোয়ারদার ও ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
রানা হত্যাকাণ্ডের জের ধরে বহু মানুষের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হয়। রানা হত্যা মামলার আসামি পক্ষের এক নারীর সঙ্গে বাদী পক্ষের একজনের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শৈলকূপা থানায় ধর্ষণ মামলা হয়।
সম্প্রতি হত্যা মামলার আসামিরা জামিন নিয়ে গ্রামে ফিরে আসলে শুরু হয় নতুন উত্তেজনা। হত্যা ও ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়।
এ নিয়ে গতরাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আসালত খান ও মোসলেম খানের লোকজনের মধ্যে কাশিনাথপুর গ্রামের সেতুর ওপর তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্র, রামদা ও ঢাল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে ১৪ জন শৈলকূপাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
শৈলকীপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসনুম খাঁন বলেন, 'ধর্ষণ ও হত্যা মামলা নিয়ে আওয়ামী লীগের মতিয়ার ও নায়েব জোয়ারদার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। বিশেষ করে হত্যা মামলার আসামিরা জামিন নিয়ে বাড়ি আসায় নতুন করে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
Comments