খালি পায়ে দৌড়ানো ছিনতাইকারীর সঙ্গে বুট পরে পেরে ওঠা কঠিন: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

খালি পায়ে দৌড়ানো ছিনতাইকারীর সঙ্গে পুলিশের পেরে ওঠা 'কঠিন' বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

আজ বুধবার রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আপনাদের লাগবে। আমাদের অনেক দুর্বলতা আছে, এগুলো থেকে আমরা বের হয়ে আপনাদের সেবা দেবো।'

তিনি বলেন, 'পুলিশবিহীন একটি সমাজ বা পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে কী হয় ৫ আগস্টের পরে আমরা সবাই দেখেছি। সমাজে লুটতরাজ ও ডাকাতি, দস্যুতার ঘটনা ৫ আগস্টের পরে ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। গত পাঁচ মাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা বিষয়টি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।'

'ইদানীং যে অপরাধটি মানুষের মধ্যে শঙ্কার সৃষ্টি করছে, সেটি ছিনতাই। এই ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ মাদকাসক্ত অল্প বয়সের ছেলেরা। ১৫ থেকে ২২ বছরের ছেলেরা নানা ধরনের মাদকে আসক্ত হয়ে এই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এই ছিনতাইয়ের ৮০ শতাংশ হচ্ছে মোবাইল ছিনতাই। বাসে, প্রাইভেটকারে যখন জানালা খুলে একজন যাত্রীরা যাতায়াত করে বা মোবাইলে কথা বলে, এই ছেলেগুলো রাস্তার পাশ থেকে এসে মোবাইলটা নিয়ে দৌড় দেয়। এদেরকে হাতে-নাতে ধরা অত্যন্ত কঠিন কাজ,' বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, 'আমার অফিসারদের কাছে একটি বড় অস্ত্র থাকে। তার বুট পরা থাকে, ইউনিফর্ম পরা থাকে। আর এই ছিনতাইকারী থাকে খালি পায়ে বা একটা কেডস পরা—তার সঙ্গে দৌড়ে পারাটা অনেক জটিল।'

ঢাকাবাসীকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা মোবাইল, পার্স বা হ্যান্ড ব্যাগ নিজের নিরাপত্তায় ভালো করে রাখার চেষ্টা করবেন। আমরা আপনাদের এই ব্যাপারে সাহায্য করব কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত ব্যাগ, এবং মানিব্যাগ, পার্স, মোবাইল নিজে একটু নিরাপদে রাখার চেষ্টা করবেন। তাহলে এ কাজটির মাধ্যমে আপনি আমাদের সহযোগিতা করতে পারবেন।'

ছিনতাই রোধে গত এক সপ্তাহে ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও এ সময় জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'আমার কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ছিনতাই অনেকটা কমে এসেছে। আমি আশা করছি, এই ছিনতাইকে আমরা আরও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

3h ago