মানি এক্সচেঞ্জ মালিকসহ ২ জনকে ছুরিকাঘাত করে ডলার-ইউরো-টাকা ছিনতাই

গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বর | ফাইল ফটো

রাজধানীর গুলশানে একটি মানি এক্সচেঞ্জের মালিকসহ ২ জনকে ছুরিকাঘাত করে ডলার, ইউরোসহ প্রায় সোয়া কোটি টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে হামলা ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন—গুলশান ২ এর সিটি মনিটরি এক্সচেঞ্জের মালিক আব্দুল কাদের সিকদার (৩০) ও তার চাচাতো ভাই আমির হামজা (২৫)। তারা দুজন বর্তমানে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত আব্দুল কাদেরের ছোট ভাই মিন্টু সিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ভাই গতকাল দোকান বন্ধ করে আমিরের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন। পথে গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেটের কাছে ১০-১২ জন তাদের পথরোধ করে।'

'তারা রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুজনের ওপর হামলা চালায়। তারপর তাদের কাছে থাকা ২৫ হাজার মার্কিন ডলার, ২০ হাজার ইউরো ও ৮০ লাখ নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়,' অভিযোগ করেন মিন্টু।

আহতদের প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।

মিন্টু আরও অভিযোগ করেন, গত চার মাস আগে ইয়াসিন নামে একজনসহ একদল লোক তাকে অপহরণ করেছিল। এ ঘটনায় গুলশান থানায় ইয়াসিন ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। ইয়াসিন এবং তার সহযোগীরা পরে জামিনে মুক্তি পান এবং তারপর থেকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। 

মিন্টুর দাবি, গতকালের ছিনতাই ও হামলার জন্য ইয়াসিন ও তার সঙ্গীরা দায়ী।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক ডেইল স্টারকে জানান, গতরাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত দুইজনকে গুলশান থেকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের স্বজনরা অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।

গুলশান থানার ওসি মাহমুদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক কোটি টাকার বেশি ছিনতাই ও হামলার অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago