সেপটিক ট্যাংক ও খাল থেকে উদ্ধার দেহাবশেষ এমপি আনারেরই: পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি
পশ্চিমবঙ্গে সেপটিক ট্যাংক এবং খাল থেকে উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে নিশ্চিত করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি।
মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিনের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলে যাওয়ার পর এ তথ্য নিশ্চিত করে তারা।
আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আনারকে ১৩ মে কলকাতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পশ্চিমবঙ্গ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এবং তদন্ত নিশ্চিত করেছে যে তদন্তের সময় উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আজীম আনারের। আমরা একটি ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এগুলো পাঠিয়েছিলাম।'
ওই কর্মকর্তা জানান, গত মাসে কলকাতায় আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছিল সিআইডি।
'নমুনাগুলো সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানে দুজনের ডিএনএর নমুনা মিলেছে। আমরা সম্প্রতি রিপোর্ট পেয়েছি', ওই কর্মকর্তা বলেন।
গত ১২ মে চিকিৎসার কথা জানিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন আনার। পরের দিন তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পুলিশের যৌথ তদন্ত শুরু হয়। গত ২২ মে কলকাতা পুলিশ কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে যে, আনারকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ পরে উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে মানব দেহাবশেষ উদ্ধার করে, যা নিউ টাউনের ফ্ল্যাটের একটি ওয়াশরুম থেকে ড্রেনের মাধ্যমে নিচে ভেসে গিয়েছিল। পরে জুন মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার একটি খালের পাড় থেকে হাড় উদ্ধার করা হয়।
পরিস্থিতিগত প্রমাণ দেখে পুলিশ জানায়, আনারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়।
মামলার প্রথম তদন্তকারী কলকাতা পুলিশ পরে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এই মামলায় অন্তত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে দুই আসামিকে।
আনারের ব্যবসায়িক অংশীদার আমেরিকান নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীনকে এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি এখনও পলাতক।
Comments